বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদার অন্যতম উৎস মাছের দামে নেই স্বস্তি। পাঙ্গাস বাদে বেড়েছে অন্যান্য মাছের দাম। চড়া মূল্যের বাজারে এখন ৮০ টাকার কমে সবজি নেই। শুধু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম ৮০ টাকার বেশি। শতকের ঘরও পার করেছে বেশ কয়েকটি সবজির দাম। পাশাপাশি ডিমের দামও রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একাধিক বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজির তালিকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থায় রয়েছে পেঁপে। এ ছাড়া ৮০ টাকা দরে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ও কচুরমুখি।
বাকি সব সবজির দাম শতকের ঘর ছাড়িয়েছে। ৮০ টাকায় লম্বা বেগুন বিক্রি হলেও তাল বেগুন বা গোল বেগুন কিনতে ক্রেতার পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ১২০ টাকা। ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি বরবটির জন্য।
সবজি বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘এখন তো ৮০ টাকায় পাইতাছেন। এগুলাও ১০০ টাকা হইয়া যাইব।’
এদিকে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মাছের দাম বেশি। বাজারে দেশি রুই বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, চাষের রুই ৩৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ১৮০০ টাকা, ট্যাংরা ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১৩০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০-৫০০ টাকা, কাচকি ৭০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, বাইলা ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১০০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা। এছাড়া গরিবের মাছ পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০ টাকায়।
এ ছাড়া ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকায়। ছোট ৪০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।
অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। লালমাটিয়ার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, মাছের এত দাম দেখে ভড়কে গিয়েছি। এই দামে মাছ কিনলে তো বাকি মাস চলতে পারব না।
অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারতো মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কমেনি আদা-রসুনের দামও। মানভেদে প্রতি কেজি আদা কিংবা রসুন সর্বনিম্ন ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।