ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেওয়ার নির্দেশ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদ মর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুল যথাযথ (এ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনও জারি করে। কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন)। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০তম গ্রেডে বেতন পান।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ঢাকার সূত্রাপুরের গেন্ডারিয়ার মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন এ রিটটি দায়ের করেন।

এ রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ মার্চ রুল জারি করে আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেওয়ার নির্দেশ

আপডেট টাইম : ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদ মর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুল যথাযথ (এ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনও জারি করে। কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন)। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০তম গ্রেডে বেতন পান।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ঢাকার সূত্রাপুরের গেন্ডারিয়ার মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন এ রিটটি দায়ের করেন।

এ রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ মার্চ রুল জারি করে আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।