ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন দুই দফা।

প্রধান নির্বাচন কিমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সোমবার এ নির্বাচনের একমাত্র প্রার্থী আবদুল হামিদকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। তিনি আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল হামিদ।

তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের পঞ্চম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপতির পদে অসীন হলেন।

হাজি মো. তায়েব উদ্দিন ও তমিজা বেগমের সন্তান হামিদ গুরুদয়াল কলেজ থেকে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্মাতক ডিগ্রি নেন।

ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করার পর কিশোরগঞ্জ বারে আইন পেশায় যোগ দেন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পরপর্যন্ত পাঁচবার জেলা বার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে আবদুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬১ সালে কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই যোগ দেন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। এক পর্যায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়।

রাষ্ট্রপতি প্রার্থীরর মনোনয়নপত্রে সই করছেন আবদুল হামিদ, পাশে শেখ হাসিনা।

গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ সাব ডিভিশনের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব নেন আবদুল হামিদ।১৯৬৬-৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৬৯ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এরপর দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে শুরু হলে তিনি তাতে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে চলতি বছর আব্দুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ।

এরপর ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন।

সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের  ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর  ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসাবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ।

আর নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন।

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতার কারণে গত ১১ মার্চ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান আবদুল হামিদ। তখন থেকেই তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হামিদ তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আপডেট টাইম : ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

সাতবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন দুই দফা।

প্রধান নির্বাচন কিমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সোমবার এ নির্বাচনের একমাত্র প্রার্থী আবদুল হামিদকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। তিনি আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল হামিদ।

তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের পঞ্চম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপতির পদে অসীন হলেন।

হাজি মো. তায়েব উদ্দিন ও তমিজা বেগমের সন্তান হামিদ গুরুদয়াল কলেজ থেকে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্মাতক ডিগ্রি নেন।

ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করার পর কিশোরগঞ্জ বারে আইন পেশায় যোগ দেন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পরপর্যন্ত পাঁচবার জেলা বার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে আবদুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬১ সালে কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই যোগ দেন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। এক পর্যায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়।

রাষ্ট্রপতি প্রার্থীরর মনোনয়নপত্রে সই করছেন আবদুল হামিদ, পাশে শেখ হাসিনা।

গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ সাব ডিভিশনের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব নেন আবদুল হামিদ।১৯৬৬-৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৬৯ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এরপর দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে শুরু হলে তিনি তাতে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে চলতি বছর আব্দুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ।

এরপর ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন।

সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের  ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর  ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসাবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ।

আর নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন।

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতার কারণে গত ১১ মার্চ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান আবদুল হামিদ। তখন থেকেই তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হামিদ তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।