বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
তিনি বলেছেন, দেশে ন্যায়বিচার নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশের নাম, বড় প্রজেক্টের নামে ন্যায়বিচার আড়াল হয়ে গেছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি, ন্যায়বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়া’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সেলিনা রহমান বলেন, ‘যেকোনো ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি দেশে ন্যায়বিচার না থাকার প্রমাণ। বরগুনায় রিফাতকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিতে হয়। কেন তিনি নির্দেশ দেবেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায়? যাদের দায়িত্ব পালনের কথা, তারা কেন পালন করছেন না?’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘সবাই দেখেছেন কীভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসেনি, পুলিশ তো আসেইনি। আজ মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে, বড় প্রজেক্টের নামে ন্যায়বিচার আড়াল হয়ে গেছে। এখনো সাগর-রুনির বিচার হয়নি। কারণ, বিচারহীনতা। বিচারব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে সরকার। তারা দুর্নীতি দিয়ে বড় হওয়ার পথে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে দেশে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য কথা বলতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, যখন ক্ষমতার দরজাটা খুব বেশি করে খোলা থাকে তখন ন্যায়বিচার জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশে তাই হয়েছে। ন্যায়বিচার পালিয়ে যাওয়ার কারণে বিচারকরা ঘুম থেকে যেগে উঠে বলেন দেশটা তো এমন ছিল না, এসব কী হচ্ছে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, বিলকিস ইসলাম, কৃষক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক মিন্টু প্রমুখ।