ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির বৈধতা দিল যুক্তরাষ্ট্র

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকে বৈধতা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম তীরের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সোমবার পম্পেওর বক্তব্যের মাধ্যমে ইসরায়েলের এই অবৈধ বসতি নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিষ্কার হলো বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এসময় পম্পেও বলেন, পশ্চিম তীরের ওই এলাকাটি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে দরকষাকষির সুযোগ ছিলো ফিলিস্তিনের।

পম্পেওর কথায়, ‘সব পক্ষের আইনি যুক্তি সাবধানতার সঙ্গে পর্যালোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ইসরায়েল যে বসতি স্থাপন করছে, আদতে তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বেসামরিক নাগরিকদের বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলাটা কাজে দেয়নি; এটি শান্তির দিকে অগ্রগতিতে ভূমিকাও রাখেনি।’

দখলকৃত পশ্চিম তীর নিয়ে পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রশাসনের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান নিল ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত ‘বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তির’ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরাকাত।

পশ্চিম তীর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান বদল ‘ঐতিহাসিক ভুলকে ঠিক করেছে’। তিনি অন্যান্য দেশকেও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণের আহ্বান জানান।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল আরব দেশগুলোর যে এলাকাগুলো দখলে নিয়েছিল, সেখানে তারা একের পর এক বসতি স্থাপন করছে।এ বসতি স্থাপন নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধও দীর্ঘদিনের।

পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত অধীকৃত এলাকাগুলোতে ১৪০টির মতো বসতি স্থাপন করেছে তেল আবিব; এসব বসতিগুলোতে ছয় লাখের মতো ইহুদি বসবাস করে আসছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির বৈধতা দিল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম : ০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকে বৈধতা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম তীরের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সোমবার পম্পেওর বক্তব্যের মাধ্যমে ইসরায়েলের এই অবৈধ বসতি নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিষ্কার হলো বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এসময় পম্পেও বলেন, পশ্চিম তীরের ওই এলাকাটি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে দরকষাকষির সুযোগ ছিলো ফিলিস্তিনের।

পম্পেওর কথায়, ‘সব পক্ষের আইনি যুক্তি সাবধানতার সঙ্গে পর্যালোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ইসরায়েল যে বসতি স্থাপন করছে, আদতে তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বেসামরিক নাগরিকদের বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলাটা কাজে দেয়নি; এটি শান্তির দিকে অগ্রগতিতে ভূমিকাও রাখেনি।’

দখলকৃত পশ্চিম তীর নিয়ে পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রশাসনের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান নিল ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত ‘বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তির’ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরাকাত।

পশ্চিম তীর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান বদল ‘ঐতিহাসিক ভুলকে ঠিক করেছে’। তিনি অন্যান্য দেশকেও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণের আহ্বান জানান।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল আরব দেশগুলোর যে এলাকাগুলো দখলে নিয়েছিল, সেখানে তারা একের পর এক বসতি স্থাপন করছে।এ বসতি স্থাপন নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধও দীর্ঘদিনের।

পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত অধীকৃত এলাকাগুলোতে ১৪০টির মতো বসতি স্থাপন করেছে তেল আবিব; এসব বসতিগুলোতে ছয় লাখের মতো ইহুদি বসবাস করে আসছেন।