বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ চলতি শীতের মৌসুমের শুরু থেকে হিমালয় এবং সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে অতিথি পাখিরা দিনাজপুরের জলাশয়, বিল হাওর এবং প্রধান নদীগুলোতে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় লোক এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় এমনকি দুই দশক আগেও বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি আসতো।
আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সামপ্রতিক বছরগুলোতে অতিথি পাখির সংখ্যা কমছে। তিনি বলেন, হিমালয়, সাইবেরিয়ান, নেপাল, জিনজিয়াং এবং মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা অব্যাহত বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু প্রজাতির পাখির জন্য শীত মৌসুমেও এসব এলাকা বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। পাখি বিশেষজ্ঞ আব্দুস সালাম বলেন, জলাভূমি হ্্রাস পাওয়ায় এবং জলাশয় থেকে অনেক প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্ত হওয়ায় অতিথি পাখি আগমনের সংখ্যা কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র বাস্তুসংস্থান এবং পরিবেশের ওপর হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক প্রজাতির মাছ, পোকা-মাকড়, পাখি কমে যাচ্ছে এবং কিছু প্রাণীর বিলুপ্তি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর ফলে অতিথি পাখির আগমনের সংখ্যা কমছে এবং শীত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়ায় অতিথি পাখিদের অবস্থানের সময় কমে যাচ্ছে। স্থানীয় বৃদ্ধ আহচান হোসেন বলেন, কড়াই বিল ও আসুরা বিলে কিছু সংখ্যক বালিহাঁস, সামুকাল, ব্রাইট, রোজ কিং, বালি লিনজা, চিটি, সরাইল, বইকাল, নিলশির, পিয়াং, পানকৌড়ি, রাঙামুড়ি, পিনটাইল, পান্তামুখী, চখাচখি এবং খঞ্জনা অতিথি পাখি দেখা যাচ্ছে।তিনি সংশ্লি ষ্ট কর্তৃপক্ষকে চোরা শিকারী, পাখি ধরা এবং বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান।