বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোরভাবে সতর্ক করলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, কেউ অপরাধের ঊর্ধ্বে নয়। মনে রাখবেন প্রথম অপরাধই হবে শেষ অপরাধ। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের তদবির বা দুর্নীতির পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতেই সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, কেউ তদবির করলে বা তদবির শুনলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। যে কারণে দুদকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেউ তদবির করার সাহস পায় না। তদবির ছাড়াই নিয়োগ হচ্ছে।
তিনি নবনিয়োগকৃত কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের অনৈতিক কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে, চাকরি হারাতে হবে। যেভাবে ঘুষ-দুর্নীতি-তদবির ছাড়া চাকরি পেয়েছেন, একইভাবে চাকরিচ্যুত করার পর তদবিরেও কোনো কাজ হবে না। প্রথম অপরাধই হবে শেষ অপরাধ। দ্বিতীয়বারের জন্য কোনো সুযোগ পাবেন না, এটাই হবে দুদকের প্রশাসনিক কৌশল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মীই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারও দায়িত্বের শৈথিল্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। আমরা সবাই ২৪ ঘণ্টার জন্যই কর্মে নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই গভীর রাতে অভিযানে যেতে পরাব না- এমন আচরণ করার কোনো সুযোগ নেই। যখন নির্দেশনা আসবে ঠিক তখনই যেতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা তদবির বা ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়েছেন। এসব অপকর্মে আপনারা জড়িয়ে পড়বেন না। আপনাদের নৈতিকতার পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে। মনে রাখবেন, চাকরি যেভাবে পেয়েছেন, তা হারাতেও সময় লাগবে না।
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) একেএম সোহেল প্রমুখ। এ ওরিয়েন্টেশনে তিন ক্যাটাগরিতে নিয়োগ পাওয়া ২৯ জন কর্মচারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।