বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের পর এবার সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগও বিয়ে করতে চলেছেন।
পাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন আলোচিত সেই সভাপতি ইশরাত জাহান এশা।
গতকাল মঙ্গলবার এশা-সোহাগের গায়েহলুদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিয়ে হবে।
বুধবার সোহাগ নিজেই যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি আমার ও এশার বিয়ে। জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের এলডি হল-২ বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে বিয়ে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন সোহাগ ও এশার পরিবারের সদস্যরা। এর পর প্রধানমন্ত্রীসহ দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সোহাগের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করেন।
প্রসঙ্গত কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের টানা আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের মোর্শেদা নামের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর রক্তাক্ত পায়ের ছবিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ছবির সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে হলের মেয়েদের রগ কেটে দিয়েছেন এশা। এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে হলের মেয়েরা তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। এর পর ছাত্রীরা এশাকে মারধর করেন এবং জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করেন।
তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ওই হলে গিয়ে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। ওই রাতেই ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এশাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান।
এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করে ছাত্রলীগ। পরে জানা যায়, মোর্শেদার পা কেউ কাটেনি, বরং এশার কক্ষের জানালার কাছে লাথি মারতে গিয়ে তার পা কেটে যায়।
এর পর ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এশার সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।
পরবর্তী সময়ে তিনদিনের মাথায় এশার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে।
ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে করে বলেন, সেই রাতে পরিস্থিতিটাই তখন এমন ছিল যে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এশাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।