ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকুনগুনিয়ায় কি মৃত্যু ঝুঁকি আছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়াই এখন দেশে প্রধান ইস্যু৷ এই জ্বর কি মহামারির আকার ধারণ করেছে?

বিষেশজ্ঞরা শুধু বলেছেন, যেখানে এই রোগ হয় সেখানে লাখো আক্রান্ত হন৷ ঢাকা শহরেও হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন৷

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ফাতেমা আবেদীন নাজলা৷ থাকেন ঢাকার পান্থপথ এলকায়৷ গত ডিম্বেরে তিনি চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন৷ কিন্তু বাংলাদেশে তখন এই ভাইরাস জ্বর সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিল না৷ ফলে কমপক্ষে ১৭ ধরনের পরীক্ষা করার পরও রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিল না তার৷ এমনকি চিকিৎসকরা তাকে হাই অ্যান্টিবায়োটিকও দিয়েছিলেন৷

নাজলা বলেন, আমার প্রথম ১০ দিন প্রচণ্ড জ্বর ছিল৷ অথচ চিকিৎসকরা রোগই ধরতে পারছিলেন না৷ শেষ পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরীক্ষায় আমার চিকুনগুনিয়া নিশ্চিত হয়৷

নাজলা বর্তমানে সুস্থ, তবে তার শরীরে এখনো ব্যথা আছে৷ এরইমধ্যে গত সপ্তাহে তার স্বামীও চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন৷

নাজলা বলেন, আমার পরিচিত এমন কোনো পরিবার নাই, যে পরিবারে চিকুনগুনিয়ায় কেউ আক্রান্ত হননি৷ আমার মনে হয়, এখন ঢাকার ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া৷

ঢাকায় এ পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই৷ তাছাড়া সেই হিসাব রাখার কোনো কেন্দ্রীয় পদ্ধতিও দেশে গড়ে উঠেনি৷

তবে আইইডিসিআর এ পর্যন্ত জ্বরের ৮০০টি স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখেছে এবং তার মধ্যে ৬০৫ জনের চিকুনগুনিয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা গেছে৷ এছাড়া মোবাইল ফোনে সাধারণভাবে ৪ হাজার ৭৭৫ জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে ৩৫৭ জন চিকুনগুনিয়ার রোগী বলে প্রমাণ পেয়েছে তারা৷

অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যত রোগী আসেন, তাদের ১১ জনের মধ্যে একজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত৷ শুধু তাই নয়, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা ঢাকা মেডিকেলে আসেন, তাদের প্রতি তিনজনের একজন চিকুনগুনিয়ার রোগী৷

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, ২০০৮ সালে রাজশাহীতে দেশে প্রথম চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়৷ এরপর ২০৯ থেকে ১২ সাল পর্যন্ত ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি এলাকায় পর্যায়ক্রমে চিকুগুনিয়ার রোগী পাওয়া যায়৷ ঢাকার কলাবাগান এলাকায় গত বছরের আগস্ট মাসে চিকুনগুানিয়ার রোগী পাওয়া যায়৷ ডিসেম্বর থেকে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে৷

তিনি বলেন, মশাই এই রোগের ভাইরাস ছড়ায়৷ সুতরাং ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং শহরে মশার উপদ্রপ কমানোই এই রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়৷

এটা ঢাকায় মহামারির আকার ধারণ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাধারণত বলি যেখানে চিকুনগুনিয়া হয় সেখানে লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়৷ ঢাকার ক্ষেত্রে আমরা বলছি হাজার হাজার৷ এ রোগের প্রাদুর্ভাব তো স্পষ্ট৷ তবে এই রোগে মৃত্যুর রেকর্ড নেই এ দেশে এখনও৷ আমাদের কাছে ৬-৭টি মুত্যুর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল৷ সেগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে, সেই মৃত ব্যক্তিদের কেউ-ই চিকুনগুনিয়ায় মারা যাননি৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাস জ্বর৷ তাই এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নাই৷ শরীরে ব্যথা হয়, তাই সাধারণভাবে প্যারাসিটামল ও পথ্য হিসেবে তরল খেতে বলা হয়৷ অবশ্য এর উপসর্গ দেখে সে অনুযায়ী চিকিৎসা হতে পারে৷

তিনি আরও বলেন, এই রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷ তবে যদি কেউ আগে থেকেই ‘ক্রনিক’ কোনো অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সতর্ক থাকতে হবে৷

বলা বাহুল্য, চিকুনগুনিয়া নিয়ে ঢাকায় রীতিমত তোলপাড় চলছে৷ হাইকোর্ট এরইমধ্যে চিকুনগুানিয়ায় আক্রান্তদের কেন সরকার ক্ষতিপুরণ দেবে না – তা জানতে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছে৷ এছাড়া সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মসজিদে মোনাজাত ও সচেতনতামূলক বয়ানের ব্যবস্থা করেছে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন৷ কিন্তু মশা তো আর তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না৷ এ কাজটা সিটি কর্পোরেশনকেই করতে হবে৷

এদিকে চিকুনগুনিয়ার টেস্ট নিয়েও আছে বিভ্রান্তি৷ কারণ একমাত্র আইইডিসিআর এবং বঙ্গন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোথাও এই ভাইরাস রোগের টেস্ট করা হয় না৷ তাও আবার চিকিৎসকদের ‘রেফারেন্স’ ছাড়া যে কেউ চাইলেই এ পরীক্ষা করাতে পারেন না৷

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর জানান, র্যাপডি টেস্ট নামে বাজারে প্রচলিত যে টেস্ট আছে, তা নির্ভরযোগ্য নয়৷

জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডিডব্লিউ বলছে, ১৯৫২-৫৩ সালে আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ায় প্রথম চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা হয়৷ ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে ভারতে ভাইরাস বাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়৷ আর এবার বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায়, চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক ছাড়াচ্ছে৷ ঢাকার বাইরে অবশ্য এখনো এটা ছড়ায়নি৷ তবে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলছেন, ভোগন্তি ছাড়া আতঙ্কের কোনো কারণ নেই৷

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চিকুনগুনিয়ায় কি মৃত্যু ঝুঁকি আছে

আপডেট টাইম : ০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়াই এখন দেশে প্রধান ইস্যু৷ এই জ্বর কি মহামারির আকার ধারণ করেছে?

বিষেশজ্ঞরা শুধু বলেছেন, যেখানে এই রোগ হয় সেখানে লাখো আক্রান্ত হন৷ ঢাকা শহরেও হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন৷

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ফাতেমা আবেদীন নাজলা৷ থাকেন ঢাকার পান্থপথ এলকায়৷ গত ডিম্বেরে তিনি চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন৷ কিন্তু বাংলাদেশে তখন এই ভাইরাস জ্বর সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিল না৷ ফলে কমপক্ষে ১৭ ধরনের পরীক্ষা করার পরও রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিল না তার৷ এমনকি চিকিৎসকরা তাকে হাই অ্যান্টিবায়োটিকও দিয়েছিলেন৷

নাজলা বলেন, আমার প্রথম ১০ দিন প্রচণ্ড জ্বর ছিল৷ অথচ চিকিৎসকরা রোগই ধরতে পারছিলেন না৷ শেষ পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরীক্ষায় আমার চিকুনগুনিয়া নিশ্চিত হয়৷

নাজলা বর্তমানে সুস্থ, তবে তার শরীরে এখনো ব্যথা আছে৷ এরইমধ্যে গত সপ্তাহে তার স্বামীও চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন৷

নাজলা বলেন, আমার পরিচিত এমন কোনো পরিবার নাই, যে পরিবারে চিকুনগুনিয়ায় কেউ আক্রান্ত হননি৷ আমার মনে হয়, এখন ঢাকার ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া৷

ঢাকায় এ পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই৷ তাছাড়া সেই হিসাব রাখার কোনো কেন্দ্রীয় পদ্ধতিও দেশে গড়ে উঠেনি৷

তবে আইইডিসিআর এ পর্যন্ত জ্বরের ৮০০টি স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখেছে এবং তার মধ্যে ৬০৫ জনের চিকুনগুনিয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা গেছে৷ এছাড়া মোবাইল ফোনে সাধারণভাবে ৪ হাজার ৭৭৫ জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে ৩৫৭ জন চিকুনগুনিয়ার রোগী বলে প্রমাণ পেয়েছে তারা৷

অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যত রোগী আসেন, তাদের ১১ জনের মধ্যে একজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত৷ শুধু তাই নয়, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা ঢাকা মেডিকেলে আসেন, তাদের প্রতি তিনজনের একজন চিকুনগুনিয়ার রোগী৷

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, ২০০৮ সালে রাজশাহীতে দেশে প্রথম চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়৷ এরপর ২০৯ থেকে ১২ সাল পর্যন্ত ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি এলাকায় পর্যায়ক্রমে চিকুগুনিয়ার রোগী পাওয়া যায়৷ ঢাকার কলাবাগান এলাকায় গত বছরের আগস্ট মাসে চিকুনগুানিয়ার রোগী পাওয়া যায়৷ ডিসেম্বর থেকে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে৷

তিনি বলেন, মশাই এই রোগের ভাইরাস ছড়ায়৷ সুতরাং ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং শহরে মশার উপদ্রপ কমানোই এই রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়৷

এটা ঢাকায় মহামারির আকার ধারণ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাধারণত বলি যেখানে চিকুনগুনিয়া হয় সেখানে লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়৷ ঢাকার ক্ষেত্রে আমরা বলছি হাজার হাজার৷ এ রোগের প্রাদুর্ভাব তো স্পষ্ট৷ তবে এই রোগে মৃত্যুর রেকর্ড নেই এ দেশে এখনও৷ আমাদের কাছে ৬-৭টি মুত্যুর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল৷ সেগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে, সেই মৃত ব্যক্তিদের কেউ-ই চিকুনগুনিয়ায় মারা যাননি৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাস জ্বর৷ তাই এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নাই৷ শরীরে ব্যথা হয়, তাই সাধারণভাবে প্যারাসিটামল ও পথ্য হিসেবে তরল খেতে বলা হয়৷ অবশ্য এর উপসর্গ দেখে সে অনুযায়ী চিকিৎসা হতে পারে৷

তিনি আরও বলেন, এই রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷ তবে যদি কেউ আগে থেকেই ‘ক্রনিক’ কোনো অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সতর্ক থাকতে হবে৷

বলা বাহুল্য, চিকুনগুনিয়া নিয়ে ঢাকায় রীতিমত তোলপাড় চলছে৷ হাইকোর্ট এরইমধ্যে চিকুনগুানিয়ায় আক্রান্তদের কেন সরকার ক্ষতিপুরণ দেবে না – তা জানতে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছে৷ এছাড়া সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মসজিদে মোনাজাত ও সচেতনতামূলক বয়ানের ব্যবস্থা করেছে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন৷ কিন্তু মশা তো আর তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না৷ এ কাজটা সিটি কর্পোরেশনকেই করতে হবে৷

এদিকে চিকুনগুনিয়ার টেস্ট নিয়েও আছে বিভ্রান্তি৷ কারণ একমাত্র আইইডিসিআর এবং বঙ্গন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোথাও এই ভাইরাস রোগের টেস্ট করা হয় না৷ তাও আবার চিকিৎসকদের ‘রেফারেন্স’ ছাড়া যে কেউ চাইলেই এ পরীক্ষা করাতে পারেন না৷

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর জানান, র্যাপডি টেস্ট নামে বাজারে প্রচলিত যে টেস্ট আছে, তা নির্ভরযোগ্য নয়৷

জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডিডব্লিউ বলছে, ১৯৫২-৫৩ সালে আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ায় প্রথম চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা হয়৷ ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে ভারতে ভাইরাস বাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়৷ আর এবার বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায়, চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক ছাড়াচ্ছে৷ ঢাকার বাইরে অবশ্য এখনো এটা ছড়ায়নি৷ তবে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলছেন, ভোগন্তি ছাড়া আতঙ্কের কোনো কারণ নেই৷