ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরফ পানিতে ঠিকে থাকতে শরীরে অ্যালকোহল বানায় গোল্ডফিশ

মানুষ সহ অধিকাংশ প্রাণী যেখানে অক্সিজেন ছাড়া কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যায়, সেখানে উত্তর ইউরোপের বরফ ঢাকা জলাভূমিতে গোল্ডফিশ মাসের পর মাস বেঁচে থাকে। বরফ ঢাকা পানিতে বেঁচে থাকার গোল্ডফিশের এই অসামান্য ব্যতিক্রমী ক্ষমতার কথা ১৯৮০’র দশক থেকেই বিজ্ঞানীদের জানা ছিল। কিন্তু এখন তারা সেই রহস্যের উত্তর পেয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বরফে ঢাকা শীতল হ্রদের পানিতে বাঁচতে গোল্ডফিশ শরীরের ল্যাকটিক অ্যাসিড অ্যালকোহলে রূপান্তরিত করে ফেলে। তারা জানিয়েছেন, বরফে ঢাকা হ্রদের পানিতে কোনো কোনো গোল্ডফিশের শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা এতটাই বেশি থাকে যে রক্তে সেই মাত্রার জন্য পুলিশ কোনো মানুষকে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর দায়ে আটকাতে পারে।
উল্লেখ্য, অক্সিজেনের অভাবে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়। সেটি যদি শরীর থেকে কোনো প্রাণী বের না করতে পারে, তাহলে কয়েক মিনিটের মধ্যে সে মারা যাবে। কিন্তু গোল্ডফিশ এবং একই জাতের দু-একটি মাছ এই ল্যাকটিক অ্যাসিড অ্যালকোহলে রূপান্তরিত করে তা বেঁচে থাকার শক্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। শুধু অক্সিজেনের অভাব হলেই তাদের শরীরে সেই ব্যতিক্রমী ক্ষমতা তৈরি হয়।
লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মাইকেল বেরেনব্রিঙ্ক বলেন, বরফের আস্তরণে যখন পুকুরের পানির সঙ্গে বাতাসের সংস্পর্শ বন্ধ হয়ে যায়, সেসময় গোল্ডফিশ পানির সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয় এবং তা দিয়ে অ্যালকোহল তৈরি করে। বরফ যত বেশি সময় থাকবে, গোল্ডফিশের শরীরে তত বেশি অ্যালকোহল তৈরি হবে। সেটি সেই প্রতিকুল পরিবেশে তার বেঁচে থাকার জ্বালানি হিসাবে কাজ করে। বিবিসি।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বরফ পানিতে ঠিকে থাকতে শরীরে অ্যালকোহল বানায় গোল্ডফিশ

আপডেট টাইম : ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭
মানুষ সহ অধিকাংশ প্রাণী যেখানে অক্সিজেন ছাড়া কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যায়, সেখানে উত্তর ইউরোপের বরফ ঢাকা জলাভূমিতে গোল্ডফিশ মাসের পর মাস বেঁচে থাকে। বরফ ঢাকা পানিতে বেঁচে থাকার গোল্ডফিশের এই অসামান্য ব্যতিক্রমী ক্ষমতার কথা ১৯৮০’র দশক থেকেই বিজ্ঞানীদের জানা ছিল। কিন্তু এখন তারা সেই রহস্যের উত্তর পেয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বরফে ঢাকা শীতল হ্রদের পানিতে বাঁচতে গোল্ডফিশ শরীরের ল্যাকটিক অ্যাসিড অ্যালকোহলে রূপান্তরিত করে ফেলে। তারা জানিয়েছেন, বরফে ঢাকা হ্রদের পানিতে কোনো কোনো গোল্ডফিশের শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা এতটাই বেশি থাকে যে রক্তে সেই মাত্রার জন্য পুলিশ কোনো মানুষকে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর দায়ে আটকাতে পারে।
উল্লেখ্য, অক্সিজেনের অভাবে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়। সেটি যদি শরীর থেকে কোনো প্রাণী বের না করতে পারে, তাহলে কয়েক মিনিটের মধ্যে সে মারা যাবে। কিন্তু গোল্ডফিশ এবং একই জাতের দু-একটি মাছ এই ল্যাকটিক অ্যাসিড অ্যালকোহলে রূপান্তরিত করে তা বেঁচে থাকার শক্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। শুধু অক্সিজেনের অভাব হলেই তাদের শরীরে সেই ব্যতিক্রমী ক্ষমতা তৈরি হয়।
লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মাইকেল বেরেনব্রিঙ্ক বলেন, বরফের আস্তরণে যখন পুকুরের পানির সঙ্গে বাতাসের সংস্পর্শ বন্ধ হয়ে যায়, সেসময় গোল্ডফিশ পানির সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয় এবং তা দিয়ে অ্যালকোহল তৈরি করে। বরফ যত বেশি সময় থাকবে, গোল্ডফিশের শরীরে তত বেশি অ্যালকোহল তৈরি হবে। সেটি সেই প্রতিকুল পরিবেশে তার বেঁচে থাকার জ্বালানি হিসাবে কাজ করে। বিবিসি।