বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ হাতের মুঠোয় রাখা মোবাইল ফোনটি কিন্তু এখন আর শুধু দূরালাপনী নয়। বরং এক একটি মোবাইল ফোন মানে ব্যক্তির রুচি, পেশা ও প্রয়োজনের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ ডিভাইস। তাই আপনি যেমন তেমনি হবে আপনার মোবাইল ফোনের বিশেষত্ব। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সানওয়েসিটির কনভেনসন সেন্টারে বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে তাদের পি ৩০ বিশেষজ্ঞ ফোনটি উদ্বোধন করে। হুয়াওয়ে পি৩০ ফোনটির এ সময়ের হাইএন্ড ফোনগুলোর যাবতীয় অগ্রগতিকে ধারণ করে কিন্তু এর বিশেষত্ব মূলত ফটোগ্রাফিতে। সানওয়ে সিটিন প্রদর্শনীকেন্দ্রের মধ্যে দুটি ডার্করুম বসিয়ে হুয়াওয়ে হাতেনাতে দেখিয়ে দিলেন যে অন্ধকার ঘেঁটে ঠিক ঠিক স্পষ্ট আলোকচিত্র করতে পারে এই পি৩০ ফোনটি।
শুধু মোবাইল ফোনের ক্যামেরার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে অন্ধকারের ছবি তুলতে পারাই নয়, বরং একটি প্রফেশনাল ক্যামেরার যাবতীয় গুণাবলীকে হাতের মুঠোয় তুলে দেয়ার চেষ্টা করেছে হুয়াওয়ে তার এই বিশেষজ্ঞ ফোনে। এবং স্লোগান করেছে, ‘আলোকচিত্রের নিয়ম-কানুনের নতুন ধারা’।
হুয়াওকে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষরা এখনও কেবল মোবাইল ফোন কোম্পানি হিসেবেই জানেন। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম ইনোভেটিভ টেকনোলজির এ প্রতিষ্ঠান কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের প্রযুক্তির বিচরণ ক্ষেত্রে বিস্তার ঘটিয়েছে আরও অনেক ক্ষেত্রে। কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের পাশের এলিট টাওয়ারে হুয়াওয়ের এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড শপটিতে গেলেই দেখতে পাবেন তার প্রমাণ। ঘড়ি, ল্যাপটপ, নোটবুক, ট্যাব, সাউন্ডসিস্টেম, একসেসরিজ, চমকপ্রদ সব গেজেটসহ কী নেই এখানে!
হুয়াওয়ের কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ বাংলাদেশের জিটিএম ডিরেক্টর বিয়ন্ড ঝেং ও পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার সুমন সাহা যখন হুয়াওয়ের এই কনসেপ্ট শপটি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন, আর আমরা বাংলাদেশ থেকে আসা ক’জন প্রযুক্তি সাংবাদিক খ্যাতিমান এই ব্রান্ডের অভিনব উপস্থাপনে বিস্মিত হচ্ছিলাম, তখন চূড়ান্ত বিস্ময়কর ঘোষণা দিলেন হুয়াওয়ে বাংলাদেশের এই দুই তরুণ কর্মকর্তা।
জানালেন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অচিরেই দেশে ব্র্যান্ডশপ করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে শুধু মোবাইল ফোন নয়, ব্র্যান্ডটির আস্থা নিয়ে আরও অভিনব ও আধুনিক জীবনযাপনের সহযোগী প্রযুক্তি বাংলাদেশিদের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজনটি অচিরেই আসছে বলে জানালেন। এবং সম্ভাব্য হিসেবে যমুনা ফিউচার পার্ক বা এমনই কোনো একটি ভেন্যুতেই হতে যাচ্ছে এমন আয়োজন, সে ধারণাও দিলেন মি: ঝেং।