আপন জুয়েলার্সের ৫ বিক্রয় কেন্দ্রে গোয়েন্দা অভিযান : সিলগালা ১

‘ডার্টি মানি’ বা কালো টাকার উত্স অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি বিক্রয় কেন্দ্রে একযোগে অভিযান চালিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। এ সময় গুলশান অ্যাভিনিউ এলাকার একটি বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ পেয়ে সেটি সিলগালা করে দেন তারা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব তলব করে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ এ তথ্য জানান। সাইফুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ডার্টি মানির সন্ধানে একযোগে গুলশান এলাকার দুটি এবং উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের আরও তিনটি শাখায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ভ্যাটের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা অংশ নেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সোনা ও হীরা সংগ্রহে অনিয়মের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকের দাবি, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের কোনো সম্পর্ক নেই। পুরনো সোনা রিফাইন্ড করে বিক্রি করা হয় বলে তিনি জানান। শুল্ক কর্মকর্তা জানান, আপন জুয়েলার্সের সোনা ও হীরা সংগ্রহের উত্স স্বচ্ছ নয় এমন স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে মৌচাক, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও গুলশানের একটি বিক্রয় কেন্দ্র খোলা পাওয়া যায়। এসব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সোনা ও হীরার মজুদ এবং এসব অলঙ্কার সংগ্রহের উত্স ও ভ্যাট-কর যথাযথভাবে আদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। অভিযানকালে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের একটি বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ পেয়ে সেটি সিলগালা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ডার্টি মানির সন্ধান পাওয়া গেছে। এখনও হিসাব-নিকাশ চলছে। সব কাজ শেষ হলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিক্রয় কেন্দ্র সিলগালার বিষয়ে তিনি বলেন, বন্ধের দিন সিলগালা করার কারণে তারা দোকানটি খুলতে গেলে গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমরা যাচাই করে দেখব সেখানে কী পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার মজুদ আছে। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর স্বর্ণালঙ্কারের মজুদ ও আমদানির উত্স যাচাই করা হচ্ছে। দেশে সোনার আমদানি বন্ধ থাকা অবস্থায় তারা এত সোনা কোথা থেকে, কীভাবে এনেছে তা যাচাই করা হবে। বৈধ উপায়ে আনলে ভালো, না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ জানান, রাজধানীতে তাদের মোট সাতটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যে দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সেটি বন্ধ ছিল। তবে ডার্টি মানির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। দেবপ্রসাদ দেবনাথ জানান, আপন জুয়েলার্সের মালিক ও তার ছেলের ব্যাংক হিসাব তলবের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর বাইরে তারা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত কি না তাও দেখা হচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের আর্থিক লেনদেনের সব তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়। একই দিন পুলিশও তাদের সব তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা করে দুই তরুণী। এরপর সিলেট থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার ক

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর