দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অসময়ে ভাঙন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অসময়ে নদীর পার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে সেখানে ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় বিলীন হয়েছে নদীপারের ৫০ মিটার অংশ। এর মধ্যে ৬ নম্বর ফেরিঘাট ও পাশের বাহিরচর গ্রাম এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। এদিকে ভাঙন শুরু হওয়ার ছয় দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে পদ্মার তীর ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএর কর্মীরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার বিভিন্ন ফেরি পারাপার হয়। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এখানে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় বিলীন হয়েছে বিভিন্ন ফেরিঘাটসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের ঘরবাড়ি। কিন্তু এবার শুষ্ক মৌসুমেই ভাঙন শুরু হয়েছে।

গত শুক্রবার বিকেল থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৬ নম্বর ঘাট পন্টুনসংলগ্ন এলাকার নদীর পার ভাঙা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে পাশের বাহিরচর গ্রামসহ আশপাশের এলাকায়ও ভাঙন শুরু হয়। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ৬ নম্বর ফেরিঘাট ও পাশের বাহিরচর গ্রাম এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।
গত এক সপ্তাহে সেখানে পদ্মায় বিলীন হয়েছে নদীপারের ৫০ মিটার অংশ।দৌলতদিয়া ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডাব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর পার ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে আজ (গতকাল) সকাল থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার যেসব পয়েন্টে নদীর পার ভাঙছে, সেখানেই বালুভরা জিও ব্যাগ ডাম্বিং করা হচ্ছে।’

বিআইডাব্লিউটিএর আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নদীবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় নদীর তীর রক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

বাঁধটি নির্মাণ করা গেলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ গোটা গোয়ালন্দ উপজেলা এলাকা নদীভাঙনের হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পবে।’ 

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর