কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় টিকা থেকে হাজারো মা ও শিশু বঞ্চিত হচ্ছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি কর্মচারী তিনি। দায়িত্ব দশটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ থেকে মা ও শিশুদের রক্ষা করার জন্য টিকা প্রদান করা। প্রত্যন্ত হাওর এলাকা কর্মস্থল বলে উনার দায়িত্ববোধ আরো বেশি থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তিনি অমাবশ্যার চাঁদ। কয়েক বছরের মধ্যে কর্মস্থলে তাকে মাত্র কয়েকবার দেখা গেছে। ফলে পোলিও, হাম, রোবেলা, যক্ষা, টিটেনাস ও হেপাটাইটিস-বি এর মত মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে হাওর এলাকার হাজার হাজার শিশু।

দায়িত্বে অবহেলাকারী এ ব্যক্তি হলেন মাহফুজুর রহমান। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্য সহকারি। হাসপাতালের ইপিআই টিকাদান কর্মসূচীর অধীনে সাবেক ২ নং ওয়ার্ডে কর্মরত। এই এলাকার মধ্যে রয়েছে উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউড়া, নাজিরপুর, নোয়াগাঁও, বাঘাইয়া এবং ভাটিনগর গ্রাম।

এলাকাবাসীর অভিযোগ তিনি বিগত ছয় বছর ধরে দায়িত্বে চরম অবহেলা করছেন। এই কয়েক বছরের মধ্যে তাকে মাত্র কয়েকবার ঐ এলাকায় দেখা গেছে। ফলে টিকাদানের জন্য এই পাচঁটি গ্রামের শুধুমাত্র সচেতন মানুষজন অষ্টগ্রামে ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাসিরনগরের চাতলপাড় গিয়ে শিশুদেরকে টিকা দিচ্ছেন। শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ সেটিও করেন না।

ভোক্তভোগী এলাকা নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল বাশার খোকন ভাটির রানিকে বলেন তিনি নিজে কয়েকবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার সাবেক দুইজন কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন পরিকল্পনা করছেন এলাকাবাসী মিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাবেন।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য মাহফুজুর রহমানের ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি দুইদিন ধরে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, “আমার স্টাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এ বিষয়ে আমি মুঠোফোনে কোন বক্তব্য দেবনা। সিভিল সার্জন স্যারের নিষেধ আছে।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর