ফুল চাষে ঘুরছে কৃষকের ভাগ্যের চাকা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  দিনাজপুরে ফুল চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফুল চাষ করে ঘুরেছে এ জেলার অসংখ্য কৃষকের ভাগ্যের চাকা। ফুল ফোঁটার বন্ধ মৌসুমেও জেলায় প্রচুর ফুল পাওয়া যাচ্ছে। নতুন বছরে ফুল ভালো বিক্রি হওয়ায় ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলচাষি ও দোকনিরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ফুল চাষে কয়েকটি গ্রাম এখন ‘ফুলের গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।

দিনাজপুরের  অনেক কৃষক এখন বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ফুল আবাদ করে কৃষকরা অধিক লাভের মুখ দেখছেন।

বিরলের রবিপুর এলাকার ফুলচাষি শমশের জানান, তিনি আট শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক ফুলচাষ করেন। ফুলের ভালো ফলন হওয়ায় তিনি বেশ লাভবান তাতে। তিনি আগামীতে এক বিঘা জমিতে ফুলচাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গাঁদা, গাজরা, গোলাপ, রজনী গন্ধা, বেলী ও কাঠ বিড়ালীসহ বিভিন্ন প্রকার ফুল আবাদ হচ্ছে এ জেলায়। ফুল ফোঁটার বন্ধ মৌসুম অর্থাৎ অসময়েও জেলায় প্রচুর ফুল পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন ফুল কেনার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে নগদ টাকায় ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং লাভজনক হওয়ায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকও ফুল চাষে ঝুঁকছেন। জমি ফেলে না রেখে ফুল চাষ করছেন তারা। ফুল তোলা আর মালা গাঁথার কাজেও জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। বিশেষ করে সংসারের কাজ ও পড়ালেখার  অবসরে নারীরা ফুলের মালা তৈরির কাজ করে বাড়তি আয় করছেন।

জেলার সদর, বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৫০ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য দারুণ উপযোগী। তাই ফুল চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

ধানের জেলা দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। এ ফুল চাষ করে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং এ ফুলের ভালো দাম পেলে এ অঞ্চলে ফুল চাষের পরিধি আরও বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদরা।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর