ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনাবাদি জমিতে ফুটেছে সূর্যমুখী, ভিড় দর্শনার্থীদের

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রকৃতিকে আরও রাঙিয়ে এখন ভৈরবে ফসলের মাঠ জুড়ে সূর্যমুখী হলুদের গালিচা বিছিয়ে অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে সূর্যমুখীর সেই বাহারি রঙ দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, সূর্যমুখীর চাষ আগামীতে আরও বাড়বে। তাছাড়া কোলস্টেরলমুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী সূর্যমুখীর তেল।

অন্যদিকে, প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করতে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই সময় কাটাচ্ছেন সূর্যমুখী ফুলের বাগানে। কেউ সেলফি, কেউ ছবি, আবার কেউ আড্ডায় সময় পার করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা দর্শনার্থী অলক দাস, কালিকাপ্রসাদের নাঈম ও শিবপুর গ্রামের তরুণী লাইজু, রাইসাসহ অনেকে জানান, প্রথমবারের মতো তারা সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে এসেছেন। তাদের অনেক ভালো লাগছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, ভৈরবে চলতি মৌসুমে ২০০ জন কৃষকের মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমূখী ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছিল। কৃষি অফিসের তদারকিতে শিবপুরের পানাউল্লাহরচর, শিমুলকান্দি, জগন্নাথপুর, কালিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ২৬ হেক্টর জমিতে এ ফুলের চাষ করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে।

সূর্যমূখী ফুল থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য এ তেল খুবই উপকারী। এছাড়া ফুলের গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং যে খৈল পাওয়া যায় তা মাছ ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় চলতি মৌসুমে ২০০ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অনাবাদি ও পতিত ২৬ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটি ফুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। আর সূর্যমুখী দেখতে সুন্দর হওয়ায় দর্শনার্থীরাও বাগানে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।

সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়লে বিদেশ থেকে তেল আমদানি হ্রাস পাবে জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা আরও বলেন, ‘এতে আমাদের দেশের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।’ আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে বলেও আশা জানান তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অনাবাদি জমিতে ফুটেছে সূর্যমুখী, ভিড় দর্শনার্থীদের

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রকৃতিকে আরও রাঙিয়ে এখন ভৈরবে ফসলের মাঠ জুড়ে সূর্যমুখী হলুদের গালিচা বিছিয়ে অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে সূর্যমুখীর সেই বাহারি রঙ দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, সূর্যমুখীর চাষ আগামীতে আরও বাড়বে। তাছাড়া কোলস্টেরলমুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী সূর্যমুখীর তেল।

অন্যদিকে, প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করতে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই সময় কাটাচ্ছেন সূর্যমুখী ফুলের বাগানে। কেউ সেলফি, কেউ ছবি, আবার কেউ আড্ডায় সময় পার করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা দর্শনার্থী অলক দাস, কালিকাপ্রসাদের নাঈম ও শিবপুর গ্রামের তরুণী লাইজু, রাইসাসহ অনেকে জানান, প্রথমবারের মতো তারা সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে এসেছেন। তাদের অনেক ভালো লাগছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, ভৈরবে চলতি মৌসুমে ২০০ জন কৃষকের মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমূখী ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছিল। কৃষি অফিসের তদারকিতে শিবপুরের পানাউল্লাহরচর, শিমুলকান্দি, জগন্নাথপুর, কালিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ২৬ হেক্টর জমিতে এ ফুলের চাষ করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে।

সূর্যমূখী ফুল থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য এ তেল খুবই উপকারী। এছাড়া ফুলের গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং যে খৈল পাওয়া যায় তা মাছ ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় চলতি মৌসুমে ২০০ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অনাবাদি ও পতিত ২৬ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটি ফুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। আর সূর্যমুখী দেখতে সুন্দর হওয়ায় দর্শনার্থীরাও বাগানে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।

সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়লে বিদেশ থেকে তেল আমদানি হ্রাস পাবে জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা আরও বলেন, ‘এতে আমাদের দেশের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।’ আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে বলেও আশা জানান তিনি।