ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে বিজিবি ও র‍্যাবের অভিযান ইয়াবাসহ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার ইয়াবা এবং মিয়ানমারের মুদ্রা উদ্ধার করেছে বিজিবি ও র‍্যাব। এ সময়মিয়ানমারের নাগরিকসহ ২ মাদক কারবারি আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী।

টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান আজ রবিবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি টিম নাফ নদীর হ্নীলা পয়েন্টে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশে পাচারের সময় ২ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করে।

আটক ব্যক্তি মিয়ানমার রাখাইনের মংডু নাফফোরা গ্রামের সালেহ আহমেদের ছেলে মো. আব্দুর শুক্কুর(২১)।

কর্নেল আশিকুর আরও জানান, আটক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করে আসছিল। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে তাকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার হয়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) কামরুজ্জামান জানান, গতকাল শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল টেকনাফের মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকায় মাদক কারবারিদের একটি বসতবাড়িতে ইয়াবা কেনাবেচার প্রস্তুতির খবর পায়।

এ অভিযানের সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালানোর চেষ্টা করলে নজরুল ইসলাম নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করে র‍্যাব। তবে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

পরবর্তীতে বসতবাড়ি তল্লাশি করে ৯৫ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং মায়ানমার মুদ্রা ৫ লক্ষ ৫ হাজার কিয়াট উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তি নজরুল ইসলাম (৪১) চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের ছখিনা বাপের পাড়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম র‍্যাবকে জানিয়েছে আটক নজরুল ৫ বছর আগে টেকনাফে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে তার শ্বশুরবাড়ি মধ্যম জালিয়াপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন এবং সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সহযোগীদের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টেকনাফে বিজিবি ও র‍্যাবের অভিযান ইয়াবাসহ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২

আপডেট টাইম : ১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার ইয়াবা এবং মিয়ানমারের মুদ্রা উদ্ধার করেছে বিজিবি ও র‍্যাব। এ সময়মিয়ানমারের নাগরিকসহ ২ মাদক কারবারি আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী।

টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান আজ রবিবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি টিম নাফ নদীর হ্নীলা পয়েন্টে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশে পাচারের সময় ২ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করে।

আটক ব্যক্তি মিয়ানমার রাখাইনের মংডু নাফফোরা গ্রামের সালেহ আহমেদের ছেলে মো. আব্দুর শুক্কুর(২১)।

কর্নেল আশিকুর আরও জানান, আটক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করে আসছিল। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে তাকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার হয়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) কামরুজ্জামান জানান, গতকাল শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল টেকনাফের মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকায় মাদক কারবারিদের একটি বসতবাড়িতে ইয়াবা কেনাবেচার প্রস্তুতির খবর পায়।

এ অভিযানের সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালানোর চেষ্টা করলে নজরুল ইসলাম নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করে র‍্যাব। তবে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

পরবর্তীতে বসতবাড়ি তল্লাশি করে ৯৫ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং মায়ানমার মুদ্রা ৫ লক্ষ ৫ হাজার কিয়াট উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তি নজরুল ইসলাম (৪১) চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের ছখিনা বাপের পাড়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম র‍্যাবকে জানিয়েছে আটক নজরুল ৫ বছর আগে টেকনাফে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে তার শ্বশুরবাড়ি মধ্যম জালিয়াপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন এবং সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সহযোগীদের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করেন।