ঢাকা , বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে দুদকের অবৈধ সম্পদের মামলায় রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞেসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন (গালিব) এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে এই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন দুদক। এদিন আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আসামি পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান লিটন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেট জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রত্যেকটি মামলাতেই মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী লায়লা কানিজ ও মতিউর রহমানকে।

এক মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশে মিথ্যাও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অসঙ্গিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও মালিকানা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন মতিউর রহমান।

আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউরকন্যা ফারজানা রহমান ইস্পিতা, মতিউর রহমান এবং স্ত্রী লায়লা কানিজকে। এই মামলার এজাহারে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ছাড়া অন্যটি মামলায় মতিউরপুত্র ছাগলকাণ্ডের আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব এবং মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যপ্রমাণসহ ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই অস্ত্র আইনের মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৮ জানুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দুদকের মামলায় ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে দুদকের অবৈধ সম্পদের মামলায় রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞেসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন (গালিব) এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে এই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন দুদক। এদিন আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আসামি পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান লিটন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেট জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রত্যেকটি মামলাতেই মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী লায়লা কানিজ ও মতিউর রহমানকে।

এক মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশে মিথ্যাও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অসঙ্গিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও মালিকানা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন মতিউর রহমান।

আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউরকন্যা ফারজানা রহমান ইস্পিতা, মতিউর রহমান এবং স্ত্রী লায়লা কানিজকে। এই মামলার এজাহারে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ছাড়া অন্যটি মামলায় মতিউরপুত্র ছাগলকাণ্ডের আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব এবং মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যপ্রমাণসহ ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই অস্ত্র আইনের মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৮ জানুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।