বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শিল্প খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান বাড়াতে ঋণ বিতরণের জন্য গঠিত তহবিলের সুদের হার কমানো হয়েছে। এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। এর ফলে এ তহবিলের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে এবং অবকাঠামো নির্মাণের খরচ কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে শিল্প খাতের অবকাঠামো নির্মাণে ৪২ কোটি ডলারের একটি তহবিল রয়েছে, যার মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এ তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়া হয়।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে এ ঋণের সুদের হার আরোপের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে গড়ে ঋণের সুদহার কমবে ২ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত। বস্তুত বেসরকারি খাতে বিনিয়াগ বাড়ানোই এর লক্ষ্য।
দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয়। যেসব প্রতিবন্ধকতার কারণে বিনিয়োগ বাড়ছে না তার অন্যতম হল দুর্বল অবকাঠামো। একজন বিনিয়োগকারীর কারখানা স্থাপনের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জমি, দ্বিতীয়ত পণ্য পরিবহনের জন্য দরকার উন্নত অবকাঠামো। কাজেই বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ভূমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও উন্নত অবকাঠামো গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে এ সমস্যা আমাদের দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। এখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ পেতে উদ্যোক্তাদের কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় আর ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে উন্নত বিমানবন্দর একটি বড় বার্তা বহন করে। একজন বিদেশি প্রথমে বিমানবন্দর দেখেই সংশ্লিষ্ট দেশ সম্পর্কে ধারণা পান।
কাজেই বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা অপরিহার্য। যানজটমুক্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিনিয়োগ আকর্ষণে বড় ভূমিকা রাখে। উদ্যোক্তারা অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে এ ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারেন।
তবে এ তহবিলের আকার আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বাস্তবতায় বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই।