বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে দেশি ও আমদানিকৃত বিদেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫২ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম বৃদ্ধির পেছনে একটি আশঙ্কা কাজ করছে।
গত বছর পেঁয়াজের দাম রেকর্ড ছুঁয়েছিল। কেজিপ্রতি ২৫০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে বাঙালির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি। আবারও এর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায় কিনা, এমন আশঙ্কা অস্বাভাবিক নয়। কারণ গত মৌসুমে ওঠা পেঁয়াজ এখন শেষের দিকে এবং নতুন পেঁয়াজ আসতে আরও কিছু সময় লাগবে।
অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে এ সুযোগে কোনো ধরনের কারসাজি করতে না পারে- টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
কেবল পেঁয়াজের দামই নয়, প্রায় সব ধরনের সবজি, কাঁচামরিচ ইত্যাদির দামও বেড়েছে। চালের দামেও এক ধরনের কারসাজি লক্ষ করা যাচ্ছে। কেজিপ্রতি ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানের চাল।
করোনাকালীন খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে সরকারের চালের দরকার হবে বেশি- এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহে চালকল মালিকরা চাল দিতে এগিয়ে আসেননি। এখনও সংগ্রহ মৌসুম শেষ না হলেও এবার সরকার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ ছাড়া চাল আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত খাদ্য অধিদফতরের বিভিন্ন সিদ্ধান্তও চালের দামের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
দুর্ভাগ্যের বিষয়, সরকার যখন যেমন সিদ্ধান্তই নিক না কেন- সাধারণ কৃষক তার সুবিধা ভোগ করতে পারে না। চালের মতো একই কথা প্রযোজ্য সবজির ক্ষেত্রেও। রাজধানীতে যেখানে গড়ে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যায় না, সেখানে কৃষক তার উৎপাদন খরচও তুলতে পারে না বেশিরভাগ সময়।
এ অবস্থায় সুষ্ঠু সরবরাহ ব্যবস্থা, মধ্যস্বত্ব¡ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো, সর্বোপরি বাজার মনিটরিংয়ে জোর দেয়ার বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে চাল ও সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপ বেশি পড়ে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের ওপর, করোনা এমনিতেই যাদের নাকাল করে রেখেছে।