বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ গত রোববার বাইসাইকেলে চড়ে একজন বিচারপতি ও দু’জন আইনজীবীর হাইকোর্টে আসার বিষয়টি অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছিলেন, মাঝে মাঝে বাইসাইকেলে চড়ে হাইকোর্টে আসবেন।
এক মাসের ব্যবধানে সাইকেলে চড়ে হাইকোর্টে এসে তিনি তার সেই কথা রাখলেন। আধুনিক নগর পরিকল্পনায় আলাদা সাইকেল লেন ও হাঁটার পথ থাকার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হলেও রাজধানী ঢাকার ফুটপাতে হাঁটতে গেলে কত ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয় তা বহুল আলোচিত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বড় বড় শহরে সাইকেলের জন্য পৃথক লেন রয়েছে।
আমাদের দেশেও মানবিক শহর গড়তে হলে হেঁটে ও সাইকেলে চলার পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। পরিবেশবান্ধব এ বাহনের জন্য আলাদা লেনের দাবি রয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁও এবং মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সাইকেল লেনের মতো রাজধানীজুড়ে সাইকেল লেন থাকা দরকার। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সাইকেল লেন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্নের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হতে পারে ঢাকার বর্তমান দুই মেয়রের হাত ধরে। পরিবেশ ও সুস্বাস্থ্যের বিবেচনায় দেশের সব শহরে হেঁটে ও সাইকেলে চলার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর ইতিবাচক দিক হল এতে জ্বালানি লাগে না, ফলে সাশ্রয়ী।
ঢাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করে। এ জন্য রাজধানীর সব ফুটপাত চলাচলের উপযোগী করার পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব সড়কে সাইকেল লেন করা সম্ভব, সেসব সড়কে আলাদা সাইকেল লেন করার বিষয়টিকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। সাইকেল লেন করার পর সেসব যাতে ব্যবহার উপযোগী থাকে তাও নিশ্চিত করা জরুরি।
সেই সঙ্গে ট্রাফিক আইনও কার্যকর করা প্রয়োজন। বর্তমানে রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই গাড়ি পার্ক করে রাখতে দেখা যায়। এছাড়া কোনো কোনো সড়কের একটি অংশ হকারদের দখলে থাকে।
এর ফলে সাইকেলে বা হেঁটে চলাচল উভয়ই বাধাগ্রস্ত হয়। এ সমস্যা কমবেশি দেশের সব শহরেই বিদ্যমান। কাজেই এত অর্থ ব্যয় করে নির্মাণ করা সড়কের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।