বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গত অর্থবছরে ৯ লাখের বেশি কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। এই সময়ে তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ১৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিতে অভিবাসন খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় একে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ব্যাপক অবদান রাখছে।
মন্ত্রী জানান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৯ লাখ ৪ হাজার ২৯৭ জন কর্মী বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১২ হাজার ৭৬৯.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, এই আয় বৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুযোগকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে বিদেশে আমাদের শ্রমবাজার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান ও সংযোজন, প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ, দেশে-বিদেশে শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্জিত রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সময়কালে বহুবিধ বাস্তবসম্মত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যা বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী, প্রবাসে অবস্থানরত কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ এবং দেশে অর্থনীতি সমৃদ্ধিতে সার্বিক ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন, অভিবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাঠপ্রশাসনের সহযোগিতায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, নিরাপদ অভিবাসন এবং প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণে আপনাদের সুচিন্তিত পরামর্শ/সুপারিশ পাওয়া গেলে মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা নিয়ে আমাদের দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে চাই।