ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্ক কমায় চালের আমদানি বাড়ছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সারাদেশে দুই দফা বন্যায় খাদ্য সঙ্কট এড়াতে সরকার শুল্ক কমিয়ে আনার পর চাল আমদানি বেড়েই চলেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চাল আমদানির জন্য ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। এই অংক গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১২৫৩৭ শতাংশ বেশি।

জুলাই মাসে চাল আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ডলারের, যা গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৫৩১৬ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই মাসে মাত্র ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার আমদানি সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ৪৭১ কোটি ডলারের (৪.৭ বিলিয়ন) এলসি খোলা হয়েছে। যা গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই মাসে গম আমদানির এলসি বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। চিনির এলসি বেড়েছে ১২১ শতাংশ। ভোজ্যতেল ৬৪ শতাংশ। পেঁয়াজ আমদানির এলসি বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে সুতা (ইয়ার্ন) আমদানির এলসি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ওষুধের কাঁচামালে বেড়েছে ৫১ শতাংশ, মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) ৬৯ শতাংশ এবং জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ৫৯ শতাংশ।

জুলাই মাসে ৪০৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, যা গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাই মাসে ২৮০ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শুল্ক কমায় চালের আমদানি বাড়ছে

আপডেট টাইম : ১২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সারাদেশে দুই দফা বন্যায় খাদ্য সঙ্কট এড়াতে সরকার শুল্ক কমিয়ে আনার পর চাল আমদানি বেড়েই চলেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চাল আমদানির জন্য ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। এই অংক গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১২৫৩৭ শতাংশ বেশি।

জুলাই মাসে চাল আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ডলারের, যা গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৫৩১৬ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই মাসে মাত্র ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার আমদানি সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ৪৭১ কোটি ডলারের (৪.৭ বিলিয়ন) এলসি খোলা হয়েছে। যা গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই মাসে গম আমদানির এলসি বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। চিনির এলসি বেড়েছে ১২১ শতাংশ। ভোজ্যতেল ৬৪ শতাংশ। পেঁয়াজ আমদানির এলসি বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে সুতা (ইয়ার্ন) আমদানির এলসি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ওষুধের কাঁচামালে বেড়েছে ৫১ শতাংশ, মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) ৬৯ শতাংশ এবং জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ৫৯ শতাংশ।

জুলাই মাসে ৪০৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, যা গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাই মাসে ২৮০ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়।