বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, নিউ মার্কেট ও আজিজ সুপার মার্কেটে ঈদের পরে ক্রেতাদের তেমন কোনো ভিড় নেই বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকেরা।
নিয়মিত বেচাকেনা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে জানান দোকান মালিকেরা ।
ঈদকে কেন্দ্র করে কেনাকাটা আর ক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলো। এসব মার্কেটে ঈদের পরে বেচা-কেনার অবস্থা স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু এবার অনেকটাই ভিন্নভাবে কাটছে রাজধানীর উচ্চবৃত্ত ও নিম্নবৃত্তদের মার্কেটগুলোতে।
মার্কেটের অনেক দোকান মালিকেরা অভিযোগ করে বলেছেন, ঈদের সময় বেচাকেনা যেমন হোক না কেন, ঈদের পরও মোটামুটি ভালো বেচাকেনা হয়। কিন্তু এবার তেমন কোনো বেচাকেনা হচ্ছে না।
শনিবার এসব মার্কেটে সরেজমিন ঘুরে এ রকমই চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর এসব মার্কেটের মধ্যে রয়েছে নিউ মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি মার্কেট প্রভৃতি।
নিউ মার্কেটের ভেতরের হাসান ফ্যাশনসহ একাধিক দোকানের মালিকেরা অভিযোগ করে বলেন, এবার ঈদের পরে তেমন কোনো কেনাকাটা হচ্ছে না। ঈদের এই ৮ দিন পরে খুবই সামান্য বেচাকেনা করছি। যা বলার মতো নয়।
হাসান ফ্যাশনের মালিক হাসান আরো বলেন, তবে আশা করছি কিছুদিন পরে পূজার সময়। আর এই পূজায় মোটামুটি ভালো একটা বেচাকেনা হয়ে থাকে।
এদিকে আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মুঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই মার্কেট ঈদের সময় মোটামুটি ভালোই কেনাবেচা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে প্রতিটা ঈদের পরেও কেনাকাটা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। কিন্তু এবার তেমন কোনো কেনাবেচা নেই বললেই চলে।
এদিকে বসুন্ধরা সিটির দোকান মালিক ফিরোজ আহম্মেদসহ একাধিক ব্যবসায়ীরা বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, আমাদের এই মার্কেটে কেনাকাটার অবস্থা মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আগের ঈদের তুলোনায় খুব কম।
দোকান মালিক ফিরোজ বলেন, ঈদের কারণে ঢাকাতে লোকজন কম থাকায় এখন একটু বেচাকেনার পরিমাণও কম। তবে দু-একদিনের মধ্যে কেনাবেচার অবস্থা ভালো হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া সামনে পূজা, তখন হয়তো ভালো বেচাকেনা হতে পারে।
এছাড়া গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, মহাখালী হকার্স মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে তেমন কেনা-কাটার চিত্র চোখে পড়েনি।