ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন গম কিনছে সরকার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন গম আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার টু সরকার (জি টু জি) পদ্ধতিতে এ গম কেনা হচ্ছে। প্রতি টন গম ২৫২ ডলার দরে কেনা হবে। এজন্য লাগছে ৪১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের খাদ্য মজুত বর্তমানে তলানিতে রয়েছে। এজন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এছাড়া সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতেও চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন রয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়। আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক দরপত্র বা কোটেশনের পাশাপাশি জি টু জি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। জি টু জি পদ্ধতিতে গম আমদানি করতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) রয়েছে। ওই এমওইউ’র মাধ্যমে গম কেনা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ই মে রাশিয়ান ফেডারেশনের মনোনীত প্রতিষ্ঠান জেএসসি প্রোডিনট্টগ গম সরবরাহের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির ভিত্তিতে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান প্রোডিনট্টগ- এর প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত ২০ ও ২১শে আগস্ট রাশিয়ার চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিটিং করে। ওই মিটিংয়ে জি টু জি পদ্ধতিতে গম আমদানির চুক্তিনামার শর্ত এবং মূল্য নিয়ে আলোচনা ও নেগোসিয়েশন হয়। আলোচনা ও নেগোসিয়েশন শেষে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে দুই লাখ টন গম প্রতি টন ২৫২ ডলার দরে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে দুই পক্ষের মধ্যে এগ্রিড মিনিটস অফ দ্য মিটিং স্বাক্ষরিত হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের দুই লাখ টন গম চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ৬০ ভাগ ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ৪০ ভাগ আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে গম আমদানির জন্য চুক্তি তৈরি হয়েছে। খসড়া চুক্তিনামা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য আলাদা আলাদা সার সংক্ষেপ পাঠিয়েছে খাদ্য বিভাগ। ওই সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বর্তমান পর্যায়ে সরকারি ভাণ্ডারে খাদ্য মজুত বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনসাধারণের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি সম্প্রসারণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত, সরকারের নির্ধারিত বিতরণ চ্যানেল সার্বিকভাবে পরিচালন এবং খাদ্যশস্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারি পর্যায়ে জরুরিভিত্তিতে খাদ্যশস্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন গম কিনছে সরকার

আপডেট টাইম : ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন গম আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার টু সরকার (জি টু জি) পদ্ধতিতে এ গম কেনা হচ্ছে। প্রতি টন গম ২৫২ ডলার দরে কেনা হবে। এজন্য লাগছে ৪১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের খাদ্য মজুত বর্তমানে তলানিতে রয়েছে। এজন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এছাড়া সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতেও চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন রয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়। আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক দরপত্র বা কোটেশনের পাশাপাশি জি টু জি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। জি টু জি পদ্ধতিতে গম আমদানি করতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) রয়েছে। ওই এমওইউ’র মাধ্যমে গম কেনা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ই মে রাশিয়ান ফেডারেশনের মনোনীত প্রতিষ্ঠান জেএসসি প্রোডিনট্টগ গম সরবরাহের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির ভিত্তিতে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান প্রোডিনট্টগ- এর প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত ২০ ও ২১শে আগস্ট রাশিয়ার চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিটিং করে। ওই মিটিংয়ে জি টু জি পদ্ধতিতে গম আমদানির চুক্তিনামার শর্ত এবং মূল্য নিয়ে আলোচনা ও নেগোসিয়েশন হয়। আলোচনা ও নেগোসিয়েশন শেষে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে দুই লাখ টন গম প্রতি টন ২৫২ ডলার দরে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে দুই পক্ষের মধ্যে এগ্রিড মিনিটস অফ দ্য মিটিং স্বাক্ষরিত হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের দুই লাখ টন গম চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ৬০ ভাগ ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ৪০ ভাগ আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে গম আমদানির জন্য চুক্তি তৈরি হয়েছে। খসড়া চুক্তিনামা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য আলাদা আলাদা সার সংক্ষেপ পাঠিয়েছে খাদ্য বিভাগ। ওই সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বর্তমান পর্যায়ে সরকারি ভাণ্ডারে খাদ্য মজুত বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনসাধারণের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি সম্প্রসারণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত, সরকারের নির্ধারিত বিতরণ চ্যানেল সার্বিকভাবে পরিচালন এবং খাদ্যশস্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারি পর্যায়ে জরুরিভিত্তিতে খাদ্যশস্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।