ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে ঢাকায় ভিসার গবেষণার তথ্য ডিজিটাল লেনদেনে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো ডিজিটাল ব্যবস্থায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ঢাকায় বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করলে সময় বাঁচে, নগদ অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ প্রবণতাও কমে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসে। এসব বাড়তি সুবিধার আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে।
ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন পেমেন্ট সেবা ভিসার এক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভিসার পক্ষে বিশ্বের বড় ১০০ শহরে এ গবেষণা চালিয়েছে রুবিনি থটল্যাব নামের একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ বিশ্বের ১০০ বড় শহরে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লে বছরে ৪৭ হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। এই অর্থ গড়ে একটি বড় শহরের বার্ষিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৩ শতাংশের সমান।
নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমলে ভোক্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারের তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সুবিধা গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা হলে ১০০ শহরে শুধু লেনদেন পরিচালনার জন্য ৩২০ কোটি ঘণ্টা বাঁচানো সম্ভব। নগদ অর্থ বা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে একটি আর্থিক লেনদেন করা হলে গড়ে খরচ হয় ৭ সেন্ট বা ৫৬ টাকা। ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করা হলে সেই খরচ কমে আসে ৪০ টাকা বা ৫ সেন্টে।
ভিসার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার টি আর রামাচান্দ্রান বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ের এ গবেষণা দেখিয়েছে নগদ অর্থবিহীন ব্যবস্থা কীভাবে সরকার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তার জন্য প্রকৃত সুবিধা নিয়ে আসে। ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়লে তা একটি শহরের জিডিপি, কর্মসংস্থান, আয় ও উৎপাদনশীলতায় কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সেই চিত্র এ গবেষণায় সঠিকভাবে উঠে এসেছে ।
নগদ অর্থবিহীন সমাজ (ক্যাশলেস সোসাইটি) তৈরিতে গবেষণায় বড় শহরের নীতিনির্ধারকদের জন্য ৬১টি সুপারিশ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংকিং লেনদেনের বাইরে থাকা মানুষকে আনুষ্ঠানিক লেনদেন প্রক্রিয়ায় আনতে আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণ, নতুন আর্থিক লেনদেনে প্রযুক্তি ব্যবহারের বাড়তি সুবিধার বিষয়ে প্রচারণা চালানো, আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ইত্যাদি। এ গবেষণার অংশ হিসেবে ‘ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন টুল’ নামের একটি অনলাইন তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে ভিসা ও রুবিনি থটল্যাব। এটি ব্যবহার করে ভোক্তারা গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ১০০ শহরে নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কতটুকু কমছে বা বাড়ছে, সেটি জানতে পারবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে ঢাকায় ভিসার গবেষণার তথ্য ডিজিটাল লেনদেনে

আপডেট টাইম : ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো ডিজিটাল ব্যবস্থায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ঢাকায় বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করলে সময় বাঁচে, নগদ অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ প্রবণতাও কমে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসে। এসব বাড়তি সুবিধার আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে।
ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন পেমেন্ট সেবা ভিসার এক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভিসার পক্ষে বিশ্বের বড় ১০০ শহরে এ গবেষণা চালিয়েছে রুবিনি থটল্যাব নামের একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ বিশ্বের ১০০ বড় শহরে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লে বছরে ৪৭ হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। এই অর্থ গড়ে একটি বড় শহরের বার্ষিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৩ শতাংশের সমান।
নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমলে ভোক্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারের তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সুবিধা গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা হলে ১০০ শহরে শুধু লেনদেন পরিচালনার জন্য ৩২০ কোটি ঘণ্টা বাঁচানো সম্ভব। নগদ অর্থ বা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে একটি আর্থিক লেনদেন করা হলে গড়ে খরচ হয় ৭ সেন্ট বা ৫৬ টাকা। ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করা হলে সেই খরচ কমে আসে ৪০ টাকা বা ৫ সেন্টে।
ভিসার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার টি আর রামাচান্দ্রান বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ের এ গবেষণা দেখিয়েছে নগদ অর্থবিহীন ব্যবস্থা কীভাবে সরকার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তার জন্য প্রকৃত সুবিধা নিয়ে আসে। ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়লে তা একটি শহরের জিডিপি, কর্মসংস্থান, আয় ও উৎপাদনশীলতায় কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সেই চিত্র এ গবেষণায় সঠিকভাবে উঠে এসেছে ।
নগদ অর্থবিহীন সমাজ (ক্যাশলেস সোসাইটি) তৈরিতে গবেষণায় বড় শহরের নীতিনির্ধারকদের জন্য ৬১টি সুপারিশ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংকিং লেনদেনের বাইরে থাকা মানুষকে আনুষ্ঠানিক লেনদেন প্রক্রিয়ায় আনতে আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণ, নতুন আর্থিক লেনদেনে প্রযুক্তি ব্যবহারের বাড়তি সুবিধার বিষয়ে প্রচারণা চালানো, আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ইত্যাদি। এ গবেষণার অংশ হিসেবে ‘ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন টুল’ নামের একটি অনলাইন তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে ভিসা ও রুবিনি থটল্যাব। এটি ব্যবহার করে ভোক্তারা গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ১০০ শহরে নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কতটুকু কমছে বা বাড়ছে, সেটি জানতে পারবেন।