ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা অজুহাতে বাড়ে পণ্যমূল্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গেল বছরের নভেম্বরে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৪২০ টাকায়। বেশকিছু দাবিতে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডাকলে গরুর গোশতের দাম ৫০০ টাকার ঘর অতিক্রম করে। পবিত্র শবেবরাত সামনে রেখে মে মাসে পণ্যটির দাম উঠে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকায়। রমজানে ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও মাসব্যাপী ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে। শবেকদরে একই গোশতের দাম ওঠে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। দুই সিটি করপোরেশনের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যটির দাম ৫০০ টাকায় নেমে আসে। এ হিসাবে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি দামে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরজুড়েই বিভিন্ন অজুহাতে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বাড়ানো হয়েছে চিনির দাম। অতিবৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। অকাল বন্যায় ফসলের ক্ষতির কথা বলে চালের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতে দামবৃদ্ধির অজুহাতে দেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রমজান, শবেবরাত, শবেকদর ও ঈদের মতো উৎসবে বাড়তি চাহিদা সামনে রেখেও বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্যের দাম সামান্য কমলেও আগের অবস্থানে আর ফিরে আসেনি। বছরজুড়েই ভোক্তাদের বাড়তি দামে বিভিন্ন পণ্য কিনতে হচ্ছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলো দ্রব্যমূল্যের চাপে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির জন্য উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা পরস্পরকে দায়ী করছেন। ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী প্রবণতা, আমদানি ও সরবরাহে বিভিন্ন ধরনের সিন্ডিকেট এবং সরকারের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত উদ্যোগ না থাকায় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের পরিবর্তনে পণ্যের দামে পরিবর্তন হতে পারে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম আগের অবস্থানে ফিরে আসা উচিত। তিনি বলেন, যে কোনো কারণে দাম বাড়লে দ্রুত বেড়ে যায়। আবার দাম কমতে একটু সময় লাগে। বিশ্বব্যাপী এমনটা দেখা গেলেও বাংলাদেশে এর প্রবণতা একটু বেশি। তিনি বলেন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট থাকলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাড়তি চাহিদার সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিত্যপণ্য আমদানি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবিকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের শুরুতে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে একই পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণে উন্নীত হয়েছে। এক বছর আগে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে রাজধানীর বাজারে। এক বছরে পেঁয়াজের দাম প্রায় ১৬৬ শতাংশ বেড়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করলেও পণ্যটির দাম আগের অবস্থানে ফেরার লক্ষণ নেই।
আগাম বন্যায় ফসলহানির অজুহাতে কয়েক মাস ধরে বাড়ছে চালের দাম। চাল আমদানিতে ঋণ সুবিধা, কর প্রত্যাহার, পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারসহ বেশকিছু সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি নতুন ফসল উঠে আসায় চালের দাম সামান্য কমেছে। এরপরও গেল বছরের তুলনায় বাজারে চালের দাম এখনও অনেক বেশি। এক বছর আগেও ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে মাঝারি মানের মিনিকেট চাল। সরবরাহ সংকটের কথা বলে একই চাল কিছুদিন আগে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। শুক্রবার মাঝারি মানের মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। এ হিসাবে এক বছরে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আগের বছরের একই সময়ে একই মানের চালের দাম ছিল কেজিতে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা পর্যন্ত। এ হিসাবে নাজিরশাইল চালের দাম বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ শতাংশ। ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম উঠেছে ৪৬ টাকায়। এ হিসাবে এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ।
বছরজুড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হলেও শুক্রবার পণ্যটি রাজধানীর বাজারে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। কিছুদিন আগে এক লাফে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে কাঁচামরিচের দাম উঠে কেজিতে ২৫০ টাকায়। বন্যায় ফলনের কথা বলে ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়েছিল পণ্যটির। বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর মরিচের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। শীত চলে আসায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহও তুলনামূলক ভালো। এরপরও আগের অবস্থানে ফিরছে না কাঁচামরিচের দাম।
কয়েক মাস ধরে বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। আলু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া যে কোনো সবজি কিনলে ক্রেতাদের কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে ৬০ টাকা। বৃষ্টির কারণে সরবরাহের কথা বলে সবজির দাম বাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না সবজির। রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে প্রতি কেজি ঝিঙা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গেল সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও শুক্রবার চিচিঙ্গার দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। টমেটো ১১০ টাকা, বরবটি ৯০, শিম ১৩০, ধনেপাতা ১৪০, বেগুন ৬০, মুলা ৬০, করলা ও পটোল ৬০, শসা ৫০, গাজর ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নানা অজুহাতে বাড়ে পণ্যমূল্য

আপডেট টাইম : ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গেল বছরের নভেম্বরে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৪২০ টাকায়। বেশকিছু দাবিতে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডাকলে গরুর গোশতের দাম ৫০০ টাকার ঘর অতিক্রম করে। পবিত্র শবেবরাত সামনে রেখে মে মাসে পণ্যটির দাম উঠে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকায়। রমজানে ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও মাসব্যাপী ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে। শবেকদরে একই গোশতের দাম ওঠে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। দুই সিটি করপোরেশনের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যটির দাম ৫০০ টাকায় নেমে আসে। এ হিসাবে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি দামে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরজুড়েই বিভিন্ন অজুহাতে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বাড়ানো হয়েছে চিনির দাম। অতিবৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। অকাল বন্যায় ফসলের ক্ষতির কথা বলে চালের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতে দামবৃদ্ধির অজুহাতে দেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রমজান, শবেবরাত, শবেকদর ও ঈদের মতো উৎসবে বাড়তি চাহিদা সামনে রেখেও বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্যের দাম সামান্য কমলেও আগের অবস্থানে আর ফিরে আসেনি। বছরজুড়েই ভোক্তাদের বাড়তি দামে বিভিন্ন পণ্য কিনতে হচ্ছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলো দ্রব্যমূল্যের চাপে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির জন্য উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা পরস্পরকে দায়ী করছেন। ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী প্রবণতা, আমদানি ও সরবরাহে বিভিন্ন ধরনের সিন্ডিকেট এবং সরকারের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত উদ্যোগ না থাকায় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের পরিবর্তনে পণ্যের দামে পরিবর্তন হতে পারে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম আগের অবস্থানে ফিরে আসা উচিত। তিনি বলেন, যে কোনো কারণে দাম বাড়লে দ্রুত বেড়ে যায়। আবার দাম কমতে একটু সময় লাগে। বিশ্বব্যাপী এমনটা দেখা গেলেও বাংলাদেশে এর প্রবণতা একটু বেশি। তিনি বলেন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট থাকলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাড়তি চাহিদার সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিত্যপণ্য আমদানি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবিকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের শুরুতে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে একই পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণে উন্নীত হয়েছে। এক বছর আগে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে রাজধানীর বাজারে। এক বছরে পেঁয়াজের দাম প্রায় ১৬৬ শতাংশ বেড়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করলেও পণ্যটির দাম আগের অবস্থানে ফেরার লক্ষণ নেই।
আগাম বন্যায় ফসলহানির অজুহাতে কয়েক মাস ধরে বাড়ছে চালের দাম। চাল আমদানিতে ঋণ সুবিধা, কর প্রত্যাহার, পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারসহ বেশকিছু সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি নতুন ফসল উঠে আসায় চালের দাম সামান্য কমেছে। এরপরও গেল বছরের তুলনায় বাজারে চালের দাম এখনও অনেক বেশি। এক বছর আগেও ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে মাঝারি মানের মিনিকেট চাল। সরবরাহ সংকটের কথা বলে একই চাল কিছুদিন আগে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। শুক্রবার মাঝারি মানের মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। এ হিসাবে এক বছরে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আগের বছরের একই সময়ে একই মানের চালের দাম ছিল কেজিতে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা পর্যন্ত। এ হিসাবে নাজিরশাইল চালের দাম বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ শতাংশ। ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম উঠেছে ৪৬ টাকায়। এ হিসাবে এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ।
বছরজুড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হলেও শুক্রবার পণ্যটি রাজধানীর বাজারে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। কিছুদিন আগে এক লাফে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে কাঁচামরিচের দাম উঠে কেজিতে ২৫০ টাকায়। বন্যায় ফলনের কথা বলে ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়েছিল পণ্যটির। বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর মরিচের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। শীত চলে আসায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহও তুলনামূলক ভালো। এরপরও আগের অবস্থানে ফিরছে না কাঁচামরিচের দাম।
কয়েক মাস ধরে বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। আলু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া যে কোনো সবজি কিনলে ক্রেতাদের কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে ৬০ টাকা। বৃষ্টির কারণে সরবরাহের কথা বলে সবজির দাম বাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না সবজির। রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে প্রতি কেজি ঝিঙা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গেল সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও শুক্রবার চিচিঙ্গার দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। টমেটো ১১০ টাকা, বরবটি ৯০, শিম ১৩০, ধনেপাতা ১৪০, বেগুন ৬০, মুলা ৬০, করলা ও পটোল ৬০, শসা ৫০, গাজর ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।