বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেকটা হাসি মুখেই সকাল সকাল বাজার করতে এসেছিলাম। আলু, বেগুন, মুলা, আঁদা, রসুন সবকিছুই নিয়েছি। বাকি ছিলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজের কথা মনে হতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।
সবকিছু মিলে যত টাকা না লাগছে, শুধু পেঁয়াজ কিনতেই খরচ করতে হচ্ছে তার চেয়ে বেশি। দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা আর ভারতীয় ৯৫ টাকা। এতদিন পেঁয়াজের ঝাঁজেই চোখ জ্বলতো এখন দেখি দাম শুনেই চোখ জ্বলতে শুরু করেছে।’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা বাজারের কাঁচাবাজার করতে আসা শংকর রায়(৩০) নতুন সময়ের প্রতিনিধিকে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
আজ সকালে বাজার করার সময় কাঁচা পণ্যের দাম নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জেলার বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম। জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১শ ১০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি বেগুন প্রতি কেজি ১৫ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৯০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, আলু ৭ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, সিম ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাজারের কাঁচামাল আড়ৎদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিগত কিছু সমস্যার কারণে এবং দেশি নতুন পেঁয়াজ খেত থেকে উঠতে বিলম্ব হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম অনেক কমে যাবে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিদু ভূষণ রায় এ সম্পর্কে বলেন, জেলায় ব্যাপক বন্যার কারণে চাষিরা অনেক দেরিতে জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছে।
চাষিরা এবার অনেক বেশি পেঁয়াজের চাষ করেছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলেই দাম কবে আসবে বলে তিনি জানান।