ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চালের উৎপাদন কমবে প্রায় ২ শতাংশ’

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চলতি ২০১৭ সালে দেশে চালের উৎপাদন কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটি বলছে বন্যার কারণে বাংলাদেশে এবছর চালের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমবে। এফএও বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যেখানে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছিল সেখানে ২০১৭ সালে তা ৩ কোটি ৪১ লাখ টনে নেমে আসবে।

চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পরে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চতুর্থ সর্বোচ্চ চাল উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু এবছর তিন দফা বন্যায় দেশের হাওর এলাকাসহ উত্তরে ব্যপক ফসলহানী হয়েছে। তবে এফএও মনে করছে আগামী বছর এই ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

এফএও জানাচ্ছে বাংলাদেশ চালের উৎপাদন কমার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বের চাল উৎপাদনেও। এছাড়া আগামী ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে চালের উৎপাদনও কমবে বলে আশঙ্কা করছে এফএও।

এফএও বলছে গত বছর সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ১৮ লাখ টন চাল উৎপাদিত হলেও এবছর তা ৫০ কোটি ৮ লাখে নেমে আসতে পারে।

তবে ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে চালের উৎপাদন ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে এফএও।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি মার্কেট আউটলুক-২০১৭-এর অক্টোবর সংখ্যায় বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শীর্ষ চার চাল উৎপাদনকারী দেশ চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে পণ্যটির উৎপাদন কমবে ২৯ লাখ টন।  এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই কমবে প্রায় ১৬ লাখ টন।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ চারটি দেশে চাল উৎপাদন কমার কারণে সারা বিশ্বের চাল উৎপাদনে ভাটা পড়তে যাচ্ছে। ফলে বেশকিছু দেশের আমদানি বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ১৭ লাখ টন চাল আমদানি করতে পারে, যা গত অর্থবছরে ছিল মাত্র এক লাখ টন। এছাড়া আমদানি বাড়াতে পারে চীন, নাইজেরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিলিপাইন ও আইভোরি কোস্ট।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চালের উৎপাদন কমবে প্রায় ২ শতাংশ’

আপডেট টাইম : ১১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চলতি ২০১৭ সালে দেশে চালের উৎপাদন কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটি বলছে বন্যার কারণে বাংলাদেশে এবছর চালের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমবে। এফএও বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যেখানে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছিল সেখানে ২০১৭ সালে তা ৩ কোটি ৪১ লাখ টনে নেমে আসবে।

চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পরে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চতুর্থ সর্বোচ্চ চাল উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু এবছর তিন দফা বন্যায় দেশের হাওর এলাকাসহ উত্তরে ব্যপক ফসলহানী হয়েছে। তবে এফএও মনে করছে আগামী বছর এই ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

এফএও জানাচ্ছে বাংলাদেশ চালের উৎপাদন কমার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বের চাল উৎপাদনেও। এছাড়া আগামী ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে চালের উৎপাদনও কমবে বলে আশঙ্কা করছে এফএও।

এফএও বলছে গত বছর সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ১৮ লাখ টন চাল উৎপাদিত হলেও এবছর তা ৫০ কোটি ৮ লাখে নেমে আসতে পারে।

তবে ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে চালের উৎপাদন ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে এফএও।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি মার্কেট আউটলুক-২০১৭-এর অক্টোবর সংখ্যায় বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শীর্ষ চার চাল উৎপাদনকারী দেশ চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে পণ্যটির উৎপাদন কমবে ২৯ লাখ টন।  এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই কমবে প্রায় ১৬ লাখ টন।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ চারটি দেশে চাল উৎপাদন কমার কারণে সারা বিশ্বের চাল উৎপাদনে ভাটা পড়তে যাচ্ছে। ফলে বেশকিছু দেশের আমদানি বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ১৭ লাখ টন চাল আমদানি করতে পারে, যা গত অর্থবছরে ছিল মাত্র এক লাখ টন। এছাড়া আমদানি বাড়াতে পারে চীন, নাইজেরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিলিপাইন ও আইভোরি কোস্ট।