বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ২৫-৩০ টাকা দরে পিয়াজ বিক্রি হলেও এ বছর পিয়াজের ঝাঁজ চোখে ক্রেতাদের পানি এনে দিয়েছে। এখনো ৮০-৯০ টাকায় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এ দাম উঠেছিল ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাজারে পিয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানি ব্যয় বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দেশে বছরে পিয়াজের চাহিদা ২০ থেকে ২২ লাখ টন। এর মধ্যে দেশেই উৎপাদন হয় ১০ লাখ টনের ওপরে।
আর আমদানি করতে হয় ১০ লাখ টনের মতো। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ লাখ ৯০ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। এর বিপরীতে নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ লাখ ছয় হাজার টনের এলসি।
ঘাটতি না থাকলেও নতুন পিয়াজ আসার পরও দাম কমেনি। সরকারি-বেসরকারিভাবে বর্তমানে পাঁচ লাখ টনের মতো দেশি পিয়াজ মজুদ রয়েছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকলেও পিয়াজের দামে লাগাম টানা যায়। এতে অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটও দায়ী বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।