বুধবার (৫ আগস্ট) বিকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। তিনি যেমন ছায়ানটে সেতারা বাজিয়েছেন, তেমনি আবাহনী ক্রীড়া চক্র নামক ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাবও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শেখ কামাল দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজে নিয়োজিত ছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে শেখ কামালকেও হারিয়েছি।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শেখ কামালের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।