বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার শিগগিরই উন্মুক্ত করবে মালয়েশিয়া। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি উন্নত হলে আবারও কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
সভায় উভয় মন্ত্রী জানান, সুষ্ঠু শ্রম অভিবাসনের স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্টের তালিকা মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে এবং মালয়েশিয়া পক্ষ ওই তালিকা থেকে উপযুক্ত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করবে। রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ায় ডাটাবেইজ থেকে কর্মী সংগ্রহ, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ন্যায্য সার্ভিস মূল্য প্রদানসহ পুরো প্রক্রিয়া মনিটরিং করা হবে একটি সমন্বিত অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে।
এ সময় কর্মী রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ায় মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়েও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের রিক্রুটমেন্ট ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে শিগগিরই উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিংয়ের বিষয়েও অলোচনা হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আটকেপড়া বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়টি সভায় আলোচনা করা হয়। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী এ বিষয়ে সম্মতি জানান। এ সংক্রান্ত গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী একইসঙ্গে মালয়েশিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়মিত করার বিষয়ে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম, অতিরিক্ত সচিব বশির আহমেদ এবং কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার পক্ষে সভায় অংশ নেন- সে দেশের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক জামিল বিন রাকন, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এ. মানিয়াম, পলিসি ডিভিশনের আন্ডার-সেক্রেটারি ড. নুর মাজনি বিনতি আবদুল মাজিদ, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশনের আন্ডার-সেক্রেটারি ড. জাকি বিন জাকারিয়া।