ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে করোনা ঠেকাতে অবশেষে স্কুল বন্ধ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কোনভাবেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নাগাল টানতে পারছে না পর্তুগাল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হলেও চালু ছিল পাবলিক সার্ভিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ।

কিন্তু সরকার কোনভাবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারলেন না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কঠিন স্বাস্থ্যবিধি। যদিও ধারণা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি পরীক্ষা ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ রাখবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে উভয়সঙ্কট, কেননা ছোট পরিবারে সন্তানগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় এবং ১২ বছরের নিচের সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক কারো সহযোগিতা ছাড়া একা থাকাটা নিরাপদ নয় এবং আইনগতভাবে নিষেধ।

এমত অবস্থায় বাবা অথবা মা যেকোনো একজন সন্তানের দেখাশোনার জন্য কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন এবং এতে তিনি তার বেতনের তিনভাগের দুইভাগ পাবেন এবং যা বেতনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬৬৫ ইউরো এবং সর্বোচ্চ ১,৯৯৫ ইউরোর বেশি হবে না।

এদিকে সন্তানের দেখাশুনার ক্ষেত্রে বাবা-মা অনুপস্থিতির কারণে পাবলিক সার্ভিস এবং দৈনন্দিন সেবায় কিছুটা ঘাটতি হতে পারে। আবার অপরদিকে যে সকল বাবা-মা জরুরি সেবায় নিয়োজিত আছেন অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, বৃদ্ধ নিবাস বা শিশু কেন্দ্রে সেবায় নিয়োজিত আছেন তাদের সন্তানের সহযোগিতার জন্য প্রতিটি অঞ্চলে একটি স্কুল খোলা থাকবে; যেখানে পিতা-মাতা তার সন্তানকে রেখে কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই পিতা-মাতাকে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের মত নতুনভাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সকল অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানকে লে-অফ ঘোষণা করে টেলিওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শপিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি খাদ্য সরবরাহ সুপার মার্কেট বা মিনি মার্কেট বাদে সকল প্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি এবং টেকওয়ে চালু রয়েছে। সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সময়সূচী সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।

২১ জানুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঘোষণা দেন ২৩ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সকল ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ। তবে পূর্বের ভ্রমণ নির্দেশনা অনুযায়ী ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরের নির্দিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পর্তুগালে করোনা ঠেকাতে অবশেষে স্কুল বন্ধ

আপডেট টাইম : ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কোনভাবেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নাগাল টানতে পারছে না পর্তুগাল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হলেও চালু ছিল পাবলিক সার্ভিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ।

কিন্তু সরকার কোনভাবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারলেন না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কঠিন স্বাস্থ্যবিধি। যদিও ধারণা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি পরীক্ষা ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ রাখবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে উভয়সঙ্কট, কেননা ছোট পরিবারে সন্তানগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় এবং ১২ বছরের নিচের সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক কারো সহযোগিতা ছাড়া একা থাকাটা নিরাপদ নয় এবং আইনগতভাবে নিষেধ।

এমত অবস্থায় বাবা অথবা মা যেকোনো একজন সন্তানের দেখাশোনার জন্য কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন এবং এতে তিনি তার বেতনের তিনভাগের দুইভাগ পাবেন এবং যা বেতনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬৬৫ ইউরো এবং সর্বোচ্চ ১,৯৯৫ ইউরোর বেশি হবে না।

এদিকে সন্তানের দেখাশুনার ক্ষেত্রে বাবা-মা অনুপস্থিতির কারণে পাবলিক সার্ভিস এবং দৈনন্দিন সেবায় কিছুটা ঘাটতি হতে পারে। আবার অপরদিকে যে সকল বাবা-মা জরুরি সেবায় নিয়োজিত আছেন অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, বৃদ্ধ নিবাস বা শিশু কেন্দ্রে সেবায় নিয়োজিত আছেন তাদের সন্তানের সহযোগিতার জন্য প্রতিটি অঞ্চলে একটি স্কুল খোলা থাকবে; যেখানে পিতা-মাতা তার সন্তানকে রেখে কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই পিতা-মাতাকে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের মত নতুনভাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সকল অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানকে লে-অফ ঘোষণা করে টেলিওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শপিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি খাদ্য সরবরাহ সুপার মার্কেট বা মিনি মার্কেট বাদে সকল প্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি এবং টেকওয়ে চালু রয়েছে। সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সময়সূচী সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।

২১ জানুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঘোষণা দেন ২৩ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সকল ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ। তবে পূর্বের ভ্রমণ নির্দেশনা অনুযায়ী ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরের নির্দিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকবে।