ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বেগম পাড়ায়’ বাড়ির মালিকদের ৯০ ভাগ আমলা, দাবি জাপা নেতার

যারা বিদেশে টাকা পাচার করে ‘বেগম পাড়ায়’ বাড়ি করেছেন তাদের ৯০ ভাগ আমলা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–’২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিরোধী দলের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এতদিন শোনা যেত কানাডায় বেগম পাড়া। কতদিন আগে দেখা গেল লন্ডনে বেগম পাড়া।

বেগম পাড়া বলতে মানুষ মনে করে এটা সংসদ সদস্যরা করেছেন। যারা টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি করেছেন, যাদের কারণে বেগম পাড়া নামটি এসেছে, তাদের শতকরা ৯০ ভাগ আমলা। ’

গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগে মানুষ মনে করতো একটি বিশেষ বাহিনী ঘুষ খায়। এখন এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে ঘুষ খায় না। যারা ঘুষ খান না, দুর্নীতি করেন না তারা এখন সংখ্যালঘু, তারা দুর্বল ও বোকা কর্মকর্তা। তাদের তেমন কোনো কাজও নেই। ’

তিনি বলেন, ‘এখন বড় বড় রাঘব বোয়ালরা আর টাকা বা ডলারে ঘুষ খান না। তারা এখন স্বর্ণের বার ঘুষ হিসেবে নেন। সব জায়গায় সিন্ডিকেট করে কর্মকর্তারা দুর্নীতি করেন। টাকা না দিলে কাজ হয় না। মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। ’

বড় বড় রাঘব-বোয়াল খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি জানতে পারি, তাহলে দেশে যাদের জানার দায়িত্ব তারা কেন জানবে না? তারা অবশ্যই জানে। না জানলে তাদের বাদ দিয়ে যারা জানে তাদের দায়িত্ব দেন। এমন লোক বসান, যারা বসলে ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হবে। ’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী পাঠানো দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কমপক্ষে ৩ লাখ সেনা সদস্য দরকার। সেই সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৫ লাখ সদস্য দরকার, যাতে একজন লোকও অপহরণের শিকার না হয়, কারও প্রাণ না যায়। ’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

‘বেগম পাড়ায়’ বাড়ির মালিকদের ৯০ ভাগ আমলা, দাবি জাপা নেতার

আপডেট টাইম : ০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

যারা বিদেশে টাকা পাচার করে ‘বেগম পাড়ায়’ বাড়ি করেছেন তাদের ৯০ ভাগ আমলা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–’২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিরোধী দলের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এতদিন শোনা যেত কানাডায় বেগম পাড়া। কতদিন আগে দেখা গেল লন্ডনে বেগম পাড়া।

বেগম পাড়া বলতে মানুষ মনে করে এটা সংসদ সদস্যরা করেছেন। যারা টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি করেছেন, যাদের কারণে বেগম পাড়া নামটি এসেছে, তাদের শতকরা ৯০ ভাগ আমলা। ’

গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগে মানুষ মনে করতো একটি বিশেষ বাহিনী ঘুষ খায়। এখন এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে ঘুষ খায় না। যারা ঘুষ খান না, দুর্নীতি করেন না তারা এখন সংখ্যালঘু, তারা দুর্বল ও বোকা কর্মকর্তা। তাদের তেমন কোনো কাজও নেই। ’

তিনি বলেন, ‘এখন বড় বড় রাঘব বোয়ালরা আর টাকা বা ডলারে ঘুষ খান না। তারা এখন স্বর্ণের বার ঘুষ হিসেবে নেন। সব জায়গায় সিন্ডিকেট করে কর্মকর্তারা দুর্নীতি করেন। টাকা না দিলে কাজ হয় না। মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। ’

বড় বড় রাঘব-বোয়াল খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি জানতে পারি, তাহলে দেশে যাদের জানার দায়িত্ব তারা কেন জানবে না? তারা অবশ্যই জানে। না জানলে তাদের বাদ দিয়ে যারা জানে তাদের দায়িত্ব দেন। এমন লোক বসান, যারা বসলে ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হবে। ’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী পাঠানো দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কমপক্ষে ৩ লাখ সেনা সদস্য দরকার। সেই সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৫ লাখ সদস্য দরকার, যাতে একজন লোকও অপহরণের শিকার না হয়, কারও প্রাণ না যায়। ’