ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী বছরের জুন থেকে প্রবাসীদের কাজের সুযোগ কমছে সৌদিতে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সৌদি আরবে আগামী বছরের জুন থেকে প্রবাসীদের কাজের সুযোগ কমছে। ৪১টি কাজের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে তারা। বেসরকারি খাতের ওপর নতুন করে জারি করা এই বিধিনিষেধ আগামী বছরের ৭ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। পর্যটন খাতের জন্য এ নির্বাহী আদেশ ২০১৯ সালের ১০ই জুন থেকে কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়ে সৌদি আরবের মদিনায় এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। এরপর সারা দেশে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে এনজিও, খুচরা পণ্য বিক্রয় ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ৪১টি ভিন্ন ভিন্ন খাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি নির্বাহী আদেশ (ডিক্রি) জারি করা হয়েছে।

বিধিনিষেধের আওতায় থাকা কাজের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- গাড়ি চালক, অর্ডার গ্রহণকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, খাদ্য পরিষেবা কর্মচারী, টেলিফোন অপারেটর, তথ্যপূরণ সহকারী, প্রশাসনিক সহকারী, রুম সুপারভাইজার, রক্ষণাবেক্ষণ সুপারভাইজার, বিক্রয় ও বিপণন সুপারভাইজারহ অন্যান্য খাত। এ ছাড়াও পর্যটন খাতে- অফিস সুপারভাইজার, টেলিফোন অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপক, রুম সার্ভিস ম্যানেজার, গ্রাহক সেবা ব্যবস্থাপক, প্রশাসনিক পরিচালক, বিক্রয় ও বিপণন প্রতিনিধি ও পর্যটন কর্মসূচির পরিচালকসহ আরো বেশ কিছু খাত।

এর আগে গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবে ১২ ধরনের কাজে বিদেশি কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সৌদি আরবের এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সৌদি সরকারের ঘোষিত ওই সময়কার আদেশে বলা হয়, ঘড়ি, চশমা, হাসপাতাল সামগ্রী, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎচালিত সামগ্রী, গাড়ির যন্ত্রাংশ, আবাসন উপকরণ, কার্পেট, গাড়ি ও মোটরসাইকেল, গৃহ ও অফিস আসবাবপত্র, বাচ্চাদের কাপড়, পুরুষদের আনুষঙ্গিক জিনিস, গৃহস্থালির তৈজসপত্র ও কনফেকশনারির দোকানে প্রবাসীরা কাজ করতে পারবেন না।

এ ধরনের কাজ সৌদি নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সৌদিকরণের ধারাবাহিকতায় এই ১২ রকমের দোকানে শুধুমাত্র সৌদি নাগরিকরাই কাজ করতে পারবেন। এই নিয়মের ব্যত্যয় হলে ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দেশটির সরকার। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে প্রবাসীদের জন্য শ্রমবাজার আরো সংকুচিত হবে। সমস্যায় পড়বেন ওই দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাই নতুন করে শ্রম বাজার খোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আগামী বছরের জুন থেকে প্রবাসীদের কাজের সুযোগ কমছে সৌদিতে

আপডেট টাইম : ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সৌদি আরবে আগামী বছরের জুন থেকে প্রবাসীদের কাজের সুযোগ কমছে। ৪১টি কাজের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে তারা। বেসরকারি খাতের ওপর নতুন করে জারি করা এই বিধিনিষেধ আগামী বছরের ৭ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। পর্যটন খাতের জন্য এ নির্বাহী আদেশ ২০১৯ সালের ১০ই জুন থেকে কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়ে সৌদি আরবের মদিনায় এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। এরপর সারা দেশে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে এনজিও, খুচরা পণ্য বিক্রয় ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ৪১টি ভিন্ন ভিন্ন খাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি নির্বাহী আদেশ (ডিক্রি) জারি করা হয়েছে।

বিধিনিষেধের আওতায় থাকা কাজের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- গাড়ি চালক, অর্ডার গ্রহণকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, খাদ্য পরিষেবা কর্মচারী, টেলিফোন অপারেটর, তথ্যপূরণ সহকারী, প্রশাসনিক সহকারী, রুম সুপারভাইজার, রক্ষণাবেক্ষণ সুপারভাইজার, বিক্রয় ও বিপণন সুপারভাইজারহ অন্যান্য খাত। এ ছাড়াও পর্যটন খাতে- অফিস সুপারভাইজার, টেলিফোন অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপক, রুম সার্ভিস ম্যানেজার, গ্রাহক সেবা ব্যবস্থাপক, প্রশাসনিক পরিচালক, বিক্রয় ও বিপণন প্রতিনিধি ও পর্যটন কর্মসূচির পরিচালকসহ আরো বেশ কিছু খাত।

এর আগে গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবে ১২ ধরনের কাজে বিদেশি কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সৌদি আরবের এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সৌদি সরকারের ঘোষিত ওই সময়কার আদেশে বলা হয়, ঘড়ি, চশমা, হাসপাতাল সামগ্রী, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎচালিত সামগ্রী, গাড়ির যন্ত্রাংশ, আবাসন উপকরণ, কার্পেট, গাড়ি ও মোটরসাইকেল, গৃহ ও অফিস আসবাবপত্র, বাচ্চাদের কাপড়, পুরুষদের আনুষঙ্গিক জিনিস, গৃহস্থালির তৈজসপত্র ও কনফেকশনারির দোকানে প্রবাসীরা কাজ করতে পারবেন না।

এ ধরনের কাজ সৌদি নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সৌদিকরণের ধারাবাহিকতায় এই ১২ রকমের দোকানে শুধুমাত্র সৌদি নাগরিকরাই কাজ করতে পারবেন। এই নিয়মের ব্যত্যয় হলে ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দেশটির সরকার। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে প্রবাসীদের জন্য শ্রমবাজার আরো সংকুচিত হবে। সমস্যায় পড়বেন ওই দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাই নতুন করে শ্রম বাজার খোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।