ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় জাহাজ ডুবে বাংলাদেশীসহ নিহত ২, নিখোঁজ ১

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা জোহরের কোতা তিংগী নামক স্থানে মালবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক বাংলাদেশী ও এক চিনা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছে আরো এক বাংলাদেশী।

দেশটির জোহর মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (এমএমইএ) পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল মেরিটাইম আমিনউদ্দিন আব্দুল রশীদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দু’জনের মরদেহ ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার করে এমএমইএ।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আব্দুল রশীদ বলেন, নিখোঁজ বাংলাদেশি ক্রু সদস্য জাহাজে আটকা পড়েছেন এমন সন্দেহে তৃতীয় দিনের মতো আমরা সন্ধান চালিয়েছি। টিআইআর এলাকাটি তিমুর তানজুং এবং তানজুং সেপাঙ্গের জলের মধ্যে ১২০ বর্গ নটিক্যাল মাইল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের পাশাপাশি তানজুং সেপাং এবং তানজুং পেনওয়ারের প্যান্টাই তানজুং পাংগাইয়ের উপকূলীয় এলাকায়ও অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হবে।

যেভাবে ঘটে জাহাজ ডুবি-দুর্ঘটনার বিষয়ে ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন মিজাম উল হক বলেন, ঘটনাটি তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের খুব কাছাকাছি ঘটেছে।

ক্যাপ্টেন বলেন, গন্তব্যের ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার পথ বাকি থাকতেই জাহাজের জেনারেটর শক্তি হারিয়ে ফেলে। যে কারণে, আমি জাহাজের স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। চার থেকে পাঁচ মিটার উচ্চ শক্তিশালী ঢেউগুলো বিভিন্ন দিক থেকে জাহাজে আঘাত হানছিল। ফলে জাহাজটি আরো দূরে সরে যায়।

নিজাম আরো বলেন, পানি জাহাজে প্রবেশ করছিল এবং আমরা আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। আমি চিৎকার করে ক্রুদের বললাম জাহাজ থেকে সরে যেতে।

তথ্য মতে, মালবাহী এ জাহাজটিতে মোট নয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাদের ছয়জনের প্রাণ বাঁচলেও দুইজনের প্রাণনাশ হয়েছে এবং অপর একজনের সন্ধান তৃতীয় দিনেও পাওয়া যায়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মালয়েশিয়ায় জাহাজ ডুবে বাংলাদেশীসহ নিহত ২, নিখোঁজ ১

আপডেট টাইম : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা জোহরের কোতা তিংগী নামক স্থানে মালবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক বাংলাদেশী ও এক চিনা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছে আরো এক বাংলাদেশী।

দেশটির জোহর মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (এমএমইএ) পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল মেরিটাইম আমিনউদ্দিন আব্দুল রশীদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দু’জনের মরদেহ ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার করে এমএমইএ।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আব্দুল রশীদ বলেন, নিখোঁজ বাংলাদেশি ক্রু সদস্য জাহাজে আটকা পড়েছেন এমন সন্দেহে তৃতীয় দিনের মতো আমরা সন্ধান চালিয়েছি। টিআইআর এলাকাটি তিমুর তানজুং এবং তানজুং সেপাঙ্গের জলের মধ্যে ১২০ বর্গ নটিক্যাল মাইল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের পাশাপাশি তানজুং সেপাং এবং তানজুং পেনওয়ারের প্যান্টাই তানজুং পাংগাইয়ের উপকূলীয় এলাকায়ও অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হবে।

যেভাবে ঘটে জাহাজ ডুবি-দুর্ঘটনার বিষয়ে ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন মিজাম উল হক বলেন, ঘটনাটি তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের খুব কাছাকাছি ঘটেছে।

ক্যাপ্টেন বলেন, গন্তব্যের ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার পথ বাকি থাকতেই জাহাজের জেনারেটর শক্তি হারিয়ে ফেলে। যে কারণে, আমি জাহাজের স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। চার থেকে পাঁচ মিটার উচ্চ শক্তিশালী ঢেউগুলো বিভিন্ন দিক থেকে জাহাজে আঘাত হানছিল। ফলে জাহাজটি আরো দূরে সরে যায়।

নিজাম আরো বলেন, পানি জাহাজে প্রবেশ করছিল এবং আমরা আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। আমি চিৎকার করে ক্রুদের বললাম জাহাজ থেকে সরে যেতে।

তথ্য মতে, মালবাহী এ জাহাজটিতে মোট নয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাদের ছয়জনের প্রাণ বাঁচলেও দুইজনের প্রাণনাশ হয়েছে এবং অপর একজনের সন্ধান তৃতীয় দিনেও পাওয়া যায়নি।