ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইংল্যান্ডের ওয়ার্থিংয়ে প্রথম মুসলিম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের হেনা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আনন্দে কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশী নারী হেনা চৌধুরী। কারণ, তিনি ইংল্যান্ডের ওয়ার্থিংয়ে স্থানীয় নির্বাচনে প্রথম একজন মুসলিম বাংলাদেশী নারী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২ মে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ফল যখন ঘোষণা হচ্ছিল অ্যাসেম্বলি হল থেকে তখন হেনার নেতাকর্মী, সমর্থকরা তার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এতে বলা হয় ওয়ার্থিং বরো কাউন্সিল নির্বাচনে বিরোধী লেবার দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হেনা চৌধুরী। এতে তিনি ১২১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ফল ঘোষণার পর অভিভূত হয়ে পড়েন হেনা। তিনি বলেন, আমি অভিভূত। কখনো ভাবিনি প্রথম একজন এশিয়ান, বাংলাদেশী নারী হিসেবে এবং একজন মুসলিম গাসফোর্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। আমি সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছি।

কখনো ভাবি নি এমনটা ঘটবে। আমাকে বলা হয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী খুব শক্তিশালী। অনেকে আমার নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, দেখুন কত ইতিবাচক মানুষ আছেন। তারা আমাকে ভালবাসা দিয়েছেন। শ্রদ্ধা দিয়েছেন। তারাই রায় দিয়েছেন কে আমি। এ জন্য স্থানীয় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

হেনা চৌধুরী আরো বলেন, যেসব মানুষ আমাকে সময় দিয়েছেন, সকালে কাজে যাওয়ার আগে ভোট দিতে এসেছেন, দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের সময় ভোট দিতে এসেছেন, সন্ধ্যায় ভোট দিতে এসেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

ভোটের দিন কেন্দ্র থেকে নড়েন নি হেনা চৌধুরী। তিনি টানা ১৫ ঘন্টা সেখানে অবস্থান করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ১৫ ঘন্টা অবস্থান করেছি। কোথাও যাই নি। সবাই চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমি সেখানে ছিলাম ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত। কারণ, আমি চেয়েছি ভোট দিতে এসে কোনো ভোটার যাতে এমনটা না দেখেন যে, কেন্দ্রে কোনো প্রার্থী নেই। তাদের জন্য কেউ অপেক্ষা করছে না। তারা যা বিশ্বাস করেছেন, আমার ওপর আস্থা রেখেছেন সেজন্য আমি নির্বাচিত। তাদের আশা পূরণ করার চেষ্টা করবো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ইংল্যান্ডের ওয়ার্থিংয়ে প্রথম মুসলিম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের হেনা

আপডেট টাইম : ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আনন্দে কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশী নারী হেনা চৌধুরী। কারণ, তিনি ইংল্যান্ডের ওয়ার্থিংয়ে স্থানীয় নির্বাচনে প্রথম একজন মুসলিম বাংলাদেশী নারী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২ মে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ফল যখন ঘোষণা হচ্ছিল অ্যাসেম্বলি হল থেকে তখন হেনার নেতাকর্মী, সমর্থকরা তার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এতে বলা হয় ওয়ার্থিং বরো কাউন্সিল নির্বাচনে বিরোধী লেবার দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হেনা চৌধুরী। এতে তিনি ১২১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ফল ঘোষণার পর অভিভূত হয়ে পড়েন হেনা। তিনি বলেন, আমি অভিভূত। কখনো ভাবিনি প্রথম একজন এশিয়ান, বাংলাদেশী নারী হিসেবে এবং একজন মুসলিম গাসফোর্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। আমি সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছি।

কখনো ভাবি নি এমনটা ঘটবে। আমাকে বলা হয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী খুব শক্তিশালী। অনেকে আমার নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, দেখুন কত ইতিবাচক মানুষ আছেন। তারা আমাকে ভালবাসা দিয়েছেন। শ্রদ্ধা দিয়েছেন। তারাই রায় দিয়েছেন কে আমি। এ জন্য স্থানীয় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

হেনা চৌধুরী আরো বলেন, যেসব মানুষ আমাকে সময় দিয়েছেন, সকালে কাজে যাওয়ার আগে ভোট দিতে এসেছেন, দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের সময় ভোট দিতে এসেছেন, সন্ধ্যায় ভোট দিতে এসেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

ভোটের দিন কেন্দ্র থেকে নড়েন নি হেনা চৌধুরী। তিনি টানা ১৫ ঘন্টা সেখানে অবস্থান করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ১৫ ঘন্টা অবস্থান করেছি। কোথাও যাই নি। সবাই চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমি সেখানে ছিলাম ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত। কারণ, আমি চেয়েছি ভোট দিতে এসে কোনো ভোটার যাতে এমনটা না দেখেন যে, কেন্দ্রে কোনো প্রার্থী নেই। তাদের জন্য কেউ অপেক্ষা করছে না। তারা যা বিশ্বাস করেছেন, আমার ওপর আস্থা রেখেছেন সেজন্য আমি নির্বাচিত। তাদের আশা পূরণ করার চেষ্টা করবো।