সম্প্রতি দেশে এক আলাদা প্রেমের নজির সৃষ্টি হয়েছে। সাত সাগর পাড়ি না দিলেও প্রেমিক-প্রেমিকারা কম করে হলেও মহাদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন প্রেমের টানে। কখন ব্রাজিল থেকে আসছে প্রেমিকা আবার কখন মার্কিন তরুণী বাঙালি যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
হ্যাঁ এর নাম প্রেম। যে প্রেম কোনোও দেশ-কাল-পাত্র মানে না, চলে আপন গতিতে। এই প্রেমের টানেই সমাজ-সংসারের সব প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলনের গল্প নতুন নয় ইতিহাসে।
তেমনই এক নজির স্থাপন করলেন জেলায় বাকপ্রতিবন্ধী লন্ডন প্রবাসী সিরাজ আহমদ ও বাংলাদেশের বাকপ্রতিবন্ধী
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বড় পিরিজপুর গ্রামের মৃত মুহিব উদ্দিন এর তৃতীয় মেয়ে ফাবিহা খানম পান্না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সূত্রে পরিচয় তাদের। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। তারপর বাংলাদেশ আর লন্ডন দূরত্ব ঘুচিয়ে এই যুগল এখন পরিণয়ে আবদ্ধ হওয়ার পথে।
সিরাজ-পান্না প্রেমের সফল পরিণতির এই গল্প এখন মৌলভীবাজারের মানুষের মুখে মুখে। সিরাজ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের উলুয়াইল গ্রামের মৃত হাজী মখলিছুর রহমানের ছেলে।
আগামী ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) তাদের বিবাহ দিন ধার্য্য করা হয়েছে। সিরাজ-পান্না প্রেমের সফল পরিণতির এই গল্প এখন মৌলভীবাজারে চমক লাগিয়েছে।
সিরাজ আহমদ এর চাচাত ভাই মৌলভীবাজার জেলা যুব সংস্থার সভাপতি আলিম উদ্দিন হালিম বিবাহের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ২ বছর ধরে ফেসবুকে মোছা. ফাবিহা খানম পান্নার সঙ্গে পরিচয় হয়।
এর পর দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেন তারা দুজনই বাক প্রতিবন্ধী। পরে তারা দুজনই সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার।
গত চার দিন আগে সিরাজ লন্ডন থেকে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে দেশে আসেন। এসে দু পরিবারের যৌথ উদ্যোগে বিয়ের দিন ধায্য করা হয়।