ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ ধরনের মন্তব্য কেউ ঘুমিয়েও করতে পারে না: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

সম্প্রতি ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে দুঃখ পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। শনিবার শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচনের পর তিনি বলেন, ‘কেউ দোষ করলে তাকে দোষারোপ করা যায়। তার মা-বাবাকে নয়। কোনো বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না।’

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়রা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রীড়া সংগঠক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও এর সমান অংশীদার। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে গ্রামে-গঞ্জে নিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকরাও।

তারাও এর গর্বিত অংশীদার। তাই সাংবাদিকদের নিয়ে অমন মন্তব্য শুনে আমি মর্মাহত হয়েছি। এ ধরনের মন্তব্য কেউ ঘুমিয়েও করতে পারে না। আমি মনে করি, এতে শুধু সাংবাদিক সমাজই নয়, পুরো বাংলাদেশের মানুষ আঘাত পেয়েছেন।’

ফিফা কর্তৃক বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য লজ্জাষ্কর। এ নিয়ে বাফুফে তদন্ত করছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে। ফিফা শক্তিশালী সংগঠন। তাই এমন কোনো কাজ আমরা করব না, যে কাজ করলে ব্যক্তির পর দেশের ওপর এসে পড়ে।’

মঙ্গলবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সালাউদ্দিন বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের বাপের ছবি দিতে হবে। কন্ডিশন হলো, বাপের একটা ফটো পাঠাবে জুতা পরা।

ঠিক আছে? এটা ম্যান্ডেটরি। আমার তো এখানে বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’ তার এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকে ঘিরে ক্রীড়া সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে অবশ্য বেফাঁস মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সালাউদ্দিন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

এ ধরনের মন্তব্য কেউ ঘুমিয়েও করতে পারে না: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

সম্প্রতি ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে দুঃখ পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। শনিবার শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচনের পর তিনি বলেন, ‘কেউ দোষ করলে তাকে দোষারোপ করা যায়। তার মা-বাবাকে নয়। কোনো বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না।’

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়রা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রীড়া সংগঠক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও এর সমান অংশীদার। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে গ্রামে-গঞ্জে নিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকরাও।

তারাও এর গর্বিত অংশীদার। তাই সাংবাদিকদের নিয়ে অমন মন্তব্য শুনে আমি মর্মাহত হয়েছি। এ ধরনের মন্তব্য কেউ ঘুমিয়েও করতে পারে না। আমি মনে করি, এতে শুধু সাংবাদিক সমাজই নয়, পুরো বাংলাদেশের মানুষ আঘাত পেয়েছেন।’

ফিফা কর্তৃক বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য লজ্জাষ্কর। এ নিয়ে বাফুফে তদন্ত করছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে। ফিফা শক্তিশালী সংগঠন। তাই এমন কোনো কাজ আমরা করব না, যে কাজ করলে ব্যক্তির পর দেশের ওপর এসে পড়ে।’

মঙ্গলবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সালাউদ্দিন বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের বাপের ছবি দিতে হবে। কন্ডিশন হলো, বাপের একটা ফটো পাঠাবে জুতা পরা।

ঠিক আছে? এটা ম্যান্ডেটরি। আমার তো এখানে বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’ তার এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকে ঘিরে ক্রীড়া সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে অবশ্য বেফাঁস মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সালাউদ্দিন।