ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিকেলে জানাজা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ৩ দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার

আ. লীগ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার র‌্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামে (কিউইএফ) ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক এক অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার সমুন্নত রেখে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

কিউইএফ’র হোস্ট ও এডিটর ইনচার্জ হাসলিন্দা আমিন এই অধিবেশন পরিচালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করার জন্য আসিনি। বরং আমি জনগণের ক্ষমতায়ন করতে চাই, যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’

কিছু দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহণে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনই মানুষকে গণনায় ধরত না। আমাদের জনগণের জন্য এক দিনে একবেলা খাবার জোটানোই খুব কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাদের অবস্থা।’

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন মানুষ বুঝতে পারে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে থাকব, তিনি বলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, মি. ট্রাম্প এখনো ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারেন?’

নির্বাচনে যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়, পাঠাতে পারে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমি আপনাকে বলতে পারি যে, আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।’

আইএমএফ’র ঋণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে, আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে। আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে, তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে, ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’

জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্য বিকল্প খুঁজছি।’

হাসলিন্দা আমিন বলেন, ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তাদের জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারী কি না?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই যে, বাংলাদেশ অনুসরণ করে—সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরীতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে, দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করব না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে, যাতে দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিকেলে জানাজা

আ. লীগ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার র‌্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামে (কিউইএফ) ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক এক অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার সমুন্নত রেখে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

কিউইএফ’র হোস্ট ও এডিটর ইনচার্জ হাসলিন্দা আমিন এই অধিবেশন পরিচালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করার জন্য আসিনি। বরং আমি জনগণের ক্ষমতায়ন করতে চাই, যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’

কিছু দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহণে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনই মানুষকে গণনায় ধরত না। আমাদের জনগণের জন্য এক দিনে একবেলা খাবার জোটানোই খুব কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাদের অবস্থা।’

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন মানুষ বুঝতে পারে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে থাকব, তিনি বলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, মি. ট্রাম্প এখনো ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারেন?’

নির্বাচনে যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়, পাঠাতে পারে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমি আপনাকে বলতে পারি যে, আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।’

আইএমএফ’র ঋণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে, আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে। আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে, তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে, ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’

জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্য বিকল্প খুঁজছি।’

হাসলিন্দা আমিন বলেন, ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তাদের জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারী কি না?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই যে, বাংলাদেশ অনুসরণ করে—সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরীতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে, দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করব না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে, যাতে দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’