ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি

ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু, মুহুরি ও মাতামুহুরি নদীর পানি।

ফেনীর মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধের তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি ছয় গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা, বসতববাড়ি, মাছের ঘের।

মুহুরি নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ১২২ কিলোমিটার বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান। এদিকে, সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদীর পানি। দুদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন পুরো শহর। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু  ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে দুই রোহিঙ্গাসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।

এদিকে, বৃষ্টির পানিতে ৪ দিনে ধরে ডুবে আছে চট্টগ্রাম নগরী। নালার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক শিক্ষার্থীর। মঙ্গলবার নগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ রাখতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি

আপডেট টাইম : ১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু, মুহুরি ও মাতামুহুরি নদীর পানি।

ফেনীর মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধের তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি ছয় গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা, বসতববাড়ি, মাছের ঘের।

মুহুরি নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ১২২ কিলোমিটার বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান। এদিকে, সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদীর পানি। দুদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন পুরো শহর। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু  ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে দুই রোহিঙ্গাসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।

এদিকে, বৃষ্টির পানিতে ৪ দিনে ধরে ডুবে আছে চট্টগ্রাম নগরী। নালার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক শিক্ষার্থীর। মঙ্গলবার নগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ রাখতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।