ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরুর গাড়ির দৌড়, দর্শকের ঢল

গ্রামের মাঠে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ির দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা চলে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে কনকনে শীত উপেক্ষ করে হাজার হাজার মানুষ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য ভিড় জমায়। মোল্যাডাঙ্গা গ্রামে যেন উৎসব বসে। আমন মৌসুমের ধান কাটার পর ফাঁকা মাঠে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরাও উৎসাহ নিয়ে মাঠে উপস্থিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন আসে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন খাবারের দোকান ও শিশুদের জন্য নাগরদোলার স্টল বসে।

শরিফুল ইসলাম নামে এক দর্শক জানান, তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখতে এসেছেন। এর আগেও বিভিন্ন মাঠে এ প্রতিযোগিতা দেখেছেন। কিন্তু সন্তানকে দেখানোর জন্য এই মাঠে এসেছেন। এই খেলা এখন হারিয়ে যাচ্ছে।

আয়োজক কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী জানান, এখন অধিকাংশ জমি ত্রি-ফসলিতে পরিণত হওয়ায় মাঠ ফাঁকা পাওয়া যায় না। সেই কারণে এ প্রতিযোগিতা এখন তেমন একটা দেখা যায় না। গ্রামের মানুষের বিনোদন দিতে এই আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগামীতেও আয়োজন করা হবে।

এবারের প্রতিযোগিতায় ২৪টি গাড়ি অংশ নেয়। এর মধ্যে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে আগত ওয়ালিদ হোসেন ১ম স্থান অর্জন করেন। যশোরের চৌগাছা থেকে আগত সজিব হোসেন ২য় ও সৈয়দপুর এলাকার সাগর হোসেন ৩য় স্থান অর্জন করেন। বিকেলে পুরস্কার বিতরণ করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রতিযোগিতা দেখতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ অন্যরা।

১ম স্থান অর্জনকারীকে একটি বড় ছাগল, ২য় স্থান অর্জনকারীকে ছোট ছাগল ও ৩য় স্থান অর্জনকারীকে একটি বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গরুর গাড়ির দৌড়, দর্শকের ঢল

আপডেট টাইম : ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

গ্রামের মাঠে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ির দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা চলে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে কনকনে শীত উপেক্ষ করে হাজার হাজার মানুষ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য ভিড় জমায়। মোল্যাডাঙ্গা গ্রামে যেন উৎসব বসে। আমন মৌসুমের ধান কাটার পর ফাঁকা মাঠে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরাও উৎসাহ নিয়ে মাঠে উপস্থিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন আসে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন খাবারের দোকান ও শিশুদের জন্য নাগরদোলার স্টল বসে।

শরিফুল ইসলাম নামে এক দর্শক জানান, তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখতে এসেছেন। এর আগেও বিভিন্ন মাঠে এ প্রতিযোগিতা দেখেছেন। কিন্তু সন্তানকে দেখানোর জন্য এই মাঠে এসেছেন। এই খেলা এখন হারিয়ে যাচ্ছে।

আয়োজক কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী জানান, এখন অধিকাংশ জমি ত্রি-ফসলিতে পরিণত হওয়ায় মাঠ ফাঁকা পাওয়া যায় না। সেই কারণে এ প্রতিযোগিতা এখন তেমন একটা দেখা যায় না। গ্রামের মানুষের বিনোদন দিতে এই আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগামীতেও আয়োজন করা হবে।

এবারের প্রতিযোগিতায় ২৪টি গাড়ি অংশ নেয়। এর মধ্যে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে আগত ওয়ালিদ হোসেন ১ম স্থান অর্জন করেন। যশোরের চৌগাছা থেকে আগত সজিব হোসেন ২য় ও সৈয়দপুর এলাকার সাগর হোসেন ৩য় স্থান অর্জন করেন। বিকেলে পুরস্কার বিতরণ করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রতিযোগিতা দেখতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ অন্যরা।

১ম স্থান অর্জনকারীকে একটি বড় ছাগল, ২য় স্থান অর্জনকারীকে ছোট ছাগল ও ৩য় স্থান অর্জনকারীকে একটি বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়।