শীতের তীব্রতার মাঝেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে কুয়াশা কাটলেও তাপমাত্রা শিগগিরই বাড়বে না। বৃষ্টির ফলে শুক্রবার থেকে কুয়াশা কাটতে শুরু করবে। তবে বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা আশু কমবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টির মধ্যে অন্তত ১০ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কুয়াশার মধ্যে মাঘের শীতে এই বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের তাপমাত্রা আরও কমেছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল বান্দরবান ও সিরাজগঞ্জে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমেছে রাজধানীতেও। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই শীতের মধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কনকনে শীতের পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গোপালগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড শীত আর বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। রাস্তায় কমে গেছে যানবাহন চলাচল।
চুয়াডাঙ্গায় মাঘের বৃষ্টিতে হাড় কাঁপানো শীত পড়ছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আজকে একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ভোরের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যায়। সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার।