ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোন মেয়ে…

মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদে বার্তা আসে আমার ইনবক্সে।অধিকাংশই সমস্যা মূলক, কিংবা সমাধান ও প্রতিকার চেয়ে।গতকালকে তেমনি একটা ক্ষুদে বার্তা পেয়ে আমি বেশ অবাক হয়েছি। ভেবেছি অনেকক্ষণ। এর পরিণাম ভেবে তাৎক্ষণিক একটা সমাধানও দিয়েছি সেই মেয়েটিকে। আশা করি একটা উপকার তিনি পাবেন,কিন্তু এর ভয়াবহতা কী হতো ,কীইবা পরিণতি ডেকে আনতো ওই পরিবারের জন্য কেউ কী ভেবেছি আমরা? সবাইকে, বিশেষ করে না বোঝা ও ভুল করা তরুণ-তরুণীদের জন্য আমার আজকের এই লেখা।
চলুন শোনা যাক ঘটনাটা কী?
ঊর্মি ( ছদ্ম নাম) ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। দুবছর আগে বাণিজ্য মেলায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় রুমানের সাথে। পরিচয়ের সুত্র ধরেই সম্পর্ক রুপ নেয় প্রণয়ে।এভাবে চলে দুই বছর।একসময় দুজনের বোঝাপড়া ও মনের রসায়নের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বিপরীত গতিতে চলা শুরু করে।এর মাঝেই মেয়েটি চাকরি নেয় একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে। আগুনে ঢালা ঘি যেন রুপ নেয় দাবানলে।সকাল সন্ধ্যা শিফট থাকাতে ভীষণ রকম সন্দেহ করা শুরু করে ছেলেটি। মেয়েটি বলে, আমি ভালো আছি, তুমি খারাপ কিছু ভাবছ কেন? ছেলেটির উত্তর আগের মতোই। তাকে চাকরি ছাড়তে হবে।মেয়েটি চাকরি ছাড়বেনা।একসময় চলমান প্যাঁচাল মার্কা সম্পর্কের ইতি টানতে দুজনের স্বাভাবিক সম্মতি ও ইচ্ছাতে উভয়ের মাঝে ব্রেকআপ হয়। অনেকদিন যোগাযোগ ছিলনা দুজনের মাঝে। একসময় পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় মেয়েটার। এখানেই বাগড়া বাঁধায় ওই ছেলেটি। ঊর্মির সাথে আগের সব ঘনিষ্ঠ ছবি ও গোপনে ধারণ করা কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য পাঠিয়ে দেয় বিয়ে ঠিক হওয়া ছেলেটার কাছে।পাশাপাশি মোবাইল ফোনে হুমকিও দেয় মেয়েটিকে। লোকলজ্জায় কাউকে জানাতে চায়না মেয়েটি, আবার মামলা করতেও চায়না। সে শুধু মরে যেতে চায়।তাও আবার আত্মহত্যা করে। ধুর পাগলী কোথাকার, মরে যাবে কেন? দাঁড়াও একটু।
শোন মেয়েঃ…
আত্মহত্যা করে জীবনটাকে শেষ করে দেওয়ার মধ্যে কোন বীরত্ব নেই। বরং সেটি চরম অমর্যাদাকর।ভীরু চিত্তের মূর্খ মানুষরা মরে ওভাবে। তুমি নিশ্চয় দুর্বল বা ভীরু নও। তাহলে এরকমটি ভাবছ কেন? শক্ত হও, প্রতিবাদী হতে শেখ।হেনরিক ইবসেনের লেখা” আ ডলস্ হাউজ” নাটক এর নোরা হেলমারের মতো সাহসী হতে হবে তোমাকে। এতো অল্পতে ভেঙ্গে পড়ে মানসিক ভাবে কেন বিপর্যস্ত হবে তুমি? তুমি তাকে শক্ত করে উঁচু গলায় বলতে পারনা কেন-
” তুমি আমার সাথে যেভাবে প্রতারণা করছো তার পরিণাম হবে ভয়াবহ, আমার ক্ষতি করলে তোমাকেও আমি একবিন্দু ছাড় দেবনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে বারোটা বাজিয়ে দেব তোমার।ভেবনা আমি অসহায় বা দুর্বল ,আমি লড়তে জানি, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানি।”
সম্পর্ক ছেলেখেলা নয়ঃ
তুমি যে ছেলেটাকে এতদিন ধরে জানলে, শুনলে, মিশলে- তাহলে কেন তুমি তাকে বুঝতে পারলেনা? যে ছেলে গোপনে তোমাদের মধ্যেকার অন্তরঙ্গতা ধারণ করতে পারে সেতো একটা পশুর চাইতেও খারাপ। অধমদের সর্বনিম্ন অধম। কেন তুমি তাকে ভালো করে বোঝনি? পারিবারিক স্ট্যাটাস তো দূরের কথা তুমি তার ঠিকানাটা পর্যন্ত বলতে পারছনা, এতোটা অচেতন হয়ে সম্পর্কে জড়ানোটা একজন সজ্ঞান সুবোধ বালিকার কাজ হতে পারেনারে বোন। সম্পর্ক ছেলে খেলা নয়। আবেগের বশবর্তী হয়ে যখন যা খুশী তখন তা করলে পস্তাতে হয়। যাক যা হয়েছে, তা নিয়ে আর কিছু বলবো না। শুধু এতোটুকুন বলতে চাই- যাকে মনে ধরেছে, ঘর বাঁধার স্বপ্ন যাকে নিয়ে দেখছ, তার মনের ঘরটাও জেনে নিও, সে ঘরে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে এক হায়েনারুপী অমানুষ। এরকম অমানুষের সাথে ফানুশ উড়াতে যেওনা বোন।
ভ্রমর ছিলে তাইনা?
এ কেমন ভালবাসা তোমার? তুমি কি ঊর্মিকে আসলেই ভালবেসেছিলে না শুধু ভ্রমর হয়েছিলে? একটা মেয়ে, যে তোমাকে সবকিছু উজাড় করে ভালবাসলো, তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তোমার থুঁতনিটা আলতো করে ধরে বলেছিল-” এই শোন না, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি জানো, চারুকলা থেকে তোমার আনা লাল চুড়ি গুলো আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে,এভাবে সবসময় আমার জীবনকে রাঙিয়ে দিতে পারবেনা?”
হুম তুমি রাঙিয়েছ তবে লাল রঙে নয় কালো রঙে।যে কালো সারাজীবন ঊর্মিকে বয়ে বেড়াতে হবে। রুমান, ভালবাসার জায়গাটা অনেক শ্রদ্ধার আর সম্মানের, এই শ্রদ্ধা আর সম্মানের অপর পিঠেই পারস্পরিক বোঝাপড়া আর খুনসুটিতে এক হয় দুজনের পৃথিবী। সেই পৃথিবীর সংজ্ঞা তোমার অজানা।
হায়েনা কোথাকার!
তোমাদের তো পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই ব্রেকআপ হয়েছিলো তাইনা?তাহলে তুমি কেন আবার ঊর্মির দিকে এরকম হায়েনার মতো আক্রমণ করলে? তুমি তাকে পুনরায় বুঝিয়ে বলতে পারতে, হাত ধরে একটু বিনয়ের সুরে বলতে পারতে -” আমি খুব ভুল করেছি, তোমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে, আমি কখনও এরকম সন্দেহ আর বাজে ব্যাবহার করবোনা ঊর্মি, প্লিজ চল, আমরা আবার এক হই”। একথা তো একবারও বলনি তুমি? তা না করে গনেশ উল্টিয়ে বারোটা বাজালে ঊর্মির। তাতো করবেই তুমি, কারণ তোমার মনে ছিল কু মতলব।তুমি কীভাবে গোপনে তোমাদের ভালবাসার মুহূর্ত গুলোকে ভিডিওতে ধারণ করতে পারলে? আবার সেগুলো পাঠিয়ে দিলে ঊর্মির হবু বরের কাছে! ‘নিষিদ্ধ পন্থায় উৎপন্ন সন্তান’ এর সহজ বাংলা কি জানা আছে তোমার? হারামজাদা, হ্যাঁ, তুমি হারামজাদা।
ঘৃণিত মানুষ তুমি
সবকিছুতে কাঁচকলা দেখানো যায়না। কাঁচাকলা এতদিন রান্না করে খেয়েছ এবার গোটা গোটা খেতে হবে তোমাকে।তুমি যে ভুল করেছ এর শাস্তি পেতেই হবে তোমাকে।আইনগত ভাবে তো পাবেই মানসিকভাবেও তুমি কখনও শান্তিতে থাকতে পারবেনা। একজন ঘৃণিত মানুষ হিসেবে সবার কাছে তুমি পরিচিত হবে। আর ঊর্মি নিশ্চয় একদিন সব কিছু সামলে নিয়ে স্বামী, সংসার আর সত্যিকারের লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে মহাদেব সাহার কবিতার মতো বলবে-“আমি সহিষ্ণু বৃক্ষের মতো দেখো বুক চিরে এখনো ফোটাই ফুল”। সে ফুল না ঝরুক কোনদিন। কোন এক ঝা চকচকা বসন্তের দিন তা হোক শুভ্রতা ছড়ানো, উষ্ণতা জড়ানো এক পবিত্র উৎস।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

শোন মেয়ে…

আপডেট টাইম : ০৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৬
মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদে বার্তা আসে আমার ইনবক্সে।অধিকাংশই সমস্যা মূলক, কিংবা সমাধান ও প্রতিকার চেয়ে।গতকালকে তেমনি একটা ক্ষুদে বার্তা পেয়ে আমি বেশ অবাক হয়েছি। ভেবেছি অনেকক্ষণ। এর পরিণাম ভেবে তাৎক্ষণিক একটা সমাধানও দিয়েছি সেই মেয়েটিকে। আশা করি একটা উপকার তিনি পাবেন,কিন্তু এর ভয়াবহতা কী হতো ,কীইবা পরিণতি ডেকে আনতো ওই পরিবারের জন্য কেউ কী ভেবেছি আমরা? সবাইকে, বিশেষ করে না বোঝা ও ভুল করা তরুণ-তরুণীদের জন্য আমার আজকের এই লেখা।
চলুন শোনা যাক ঘটনাটা কী?
ঊর্মি ( ছদ্ম নাম) ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। দুবছর আগে বাণিজ্য মেলায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় রুমানের সাথে। পরিচয়ের সুত্র ধরেই সম্পর্ক রুপ নেয় প্রণয়ে।এভাবে চলে দুই বছর।একসময় দুজনের বোঝাপড়া ও মনের রসায়নের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বিপরীত গতিতে চলা শুরু করে।এর মাঝেই মেয়েটি চাকরি নেয় একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে। আগুনে ঢালা ঘি যেন রুপ নেয় দাবানলে।সকাল সন্ধ্যা শিফট থাকাতে ভীষণ রকম সন্দেহ করা শুরু করে ছেলেটি। মেয়েটি বলে, আমি ভালো আছি, তুমি খারাপ কিছু ভাবছ কেন? ছেলেটির উত্তর আগের মতোই। তাকে চাকরি ছাড়তে হবে।মেয়েটি চাকরি ছাড়বেনা।একসময় চলমান প্যাঁচাল মার্কা সম্পর্কের ইতি টানতে দুজনের স্বাভাবিক সম্মতি ও ইচ্ছাতে উভয়ের মাঝে ব্রেকআপ হয়। অনেকদিন যোগাযোগ ছিলনা দুজনের মাঝে। একসময় পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় মেয়েটার। এখানেই বাগড়া বাঁধায় ওই ছেলেটি। ঊর্মির সাথে আগের সব ঘনিষ্ঠ ছবি ও গোপনে ধারণ করা কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য পাঠিয়ে দেয় বিয়ে ঠিক হওয়া ছেলেটার কাছে।পাশাপাশি মোবাইল ফোনে হুমকিও দেয় মেয়েটিকে। লোকলজ্জায় কাউকে জানাতে চায়না মেয়েটি, আবার মামলা করতেও চায়না। সে শুধু মরে যেতে চায়।তাও আবার আত্মহত্যা করে। ধুর পাগলী কোথাকার, মরে যাবে কেন? দাঁড়াও একটু।
শোন মেয়েঃ…
আত্মহত্যা করে জীবনটাকে শেষ করে দেওয়ার মধ্যে কোন বীরত্ব নেই। বরং সেটি চরম অমর্যাদাকর।ভীরু চিত্তের মূর্খ মানুষরা মরে ওভাবে। তুমি নিশ্চয় দুর্বল বা ভীরু নও। তাহলে এরকমটি ভাবছ কেন? শক্ত হও, প্রতিবাদী হতে শেখ।হেনরিক ইবসেনের লেখা” আ ডলস্ হাউজ” নাটক এর নোরা হেলমারের মতো সাহসী হতে হবে তোমাকে। এতো অল্পতে ভেঙ্গে পড়ে মানসিক ভাবে কেন বিপর্যস্ত হবে তুমি? তুমি তাকে শক্ত করে উঁচু গলায় বলতে পারনা কেন-
” তুমি আমার সাথে যেভাবে প্রতারণা করছো তার পরিণাম হবে ভয়াবহ, আমার ক্ষতি করলে তোমাকেও আমি একবিন্দু ছাড় দেবনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে বারোটা বাজিয়ে দেব তোমার।ভেবনা আমি অসহায় বা দুর্বল ,আমি লড়তে জানি, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানি।”
সম্পর্ক ছেলেখেলা নয়ঃ
তুমি যে ছেলেটাকে এতদিন ধরে জানলে, শুনলে, মিশলে- তাহলে কেন তুমি তাকে বুঝতে পারলেনা? যে ছেলে গোপনে তোমাদের মধ্যেকার অন্তরঙ্গতা ধারণ করতে পারে সেতো একটা পশুর চাইতেও খারাপ। অধমদের সর্বনিম্ন অধম। কেন তুমি তাকে ভালো করে বোঝনি? পারিবারিক স্ট্যাটাস তো দূরের কথা তুমি তার ঠিকানাটা পর্যন্ত বলতে পারছনা, এতোটা অচেতন হয়ে সম্পর্কে জড়ানোটা একজন সজ্ঞান সুবোধ বালিকার কাজ হতে পারেনারে বোন। সম্পর্ক ছেলে খেলা নয়। আবেগের বশবর্তী হয়ে যখন যা খুশী তখন তা করলে পস্তাতে হয়। যাক যা হয়েছে, তা নিয়ে আর কিছু বলবো না। শুধু এতোটুকুন বলতে চাই- যাকে মনে ধরেছে, ঘর বাঁধার স্বপ্ন যাকে নিয়ে দেখছ, তার মনের ঘরটাও জেনে নিও, সে ঘরে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে এক হায়েনারুপী অমানুষ। এরকম অমানুষের সাথে ফানুশ উড়াতে যেওনা বোন।
ভ্রমর ছিলে তাইনা?
এ কেমন ভালবাসা তোমার? তুমি কি ঊর্মিকে আসলেই ভালবেসেছিলে না শুধু ভ্রমর হয়েছিলে? একটা মেয়ে, যে তোমাকে সবকিছু উজাড় করে ভালবাসলো, তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তোমার থুঁতনিটা আলতো করে ধরে বলেছিল-” এই শোন না, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি জানো, চারুকলা থেকে তোমার আনা লাল চুড়ি গুলো আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে,এভাবে সবসময় আমার জীবনকে রাঙিয়ে দিতে পারবেনা?”
হুম তুমি রাঙিয়েছ তবে লাল রঙে নয় কালো রঙে।যে কালো সারাজীবন ঊর্মিকে বয়ে বেড়াতে হবে। রুমান, ভালবাসার জায়গাটা অনেক শ্রদ্ধার আর সম্মানের, এই শ্রদ্ধা আর সম্মানের অপর পিঠেই পারস্পরিক বোঝাপড়া আর খুনসুটিতে এক হয় দুজনের পৃথিবী। সেই পৃথিবীর সংজ্ঞা তোমার অজানা।
হায়েনা কোথাকার!
তোমাদের তো পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই ব্রেকআপ হয়েছিলো তাইনা?তাহলে তুমি কেন আবার ঊর্মির দিকে এরকম হায়েনার মতো আক্রমণ করলে? তুমি তাকে পুনরায় বুঝিয়ে বলতে পারতে, হাত ধরে একটু বিনয়ের সুরে বলতে পারতে -” আমি খুব ভুল করেছি, তোমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে, আমি কখনও এরকম সন্দেহ আর বাজে ব্যাবহার করবোনা ঊর্মি, প্লিজ চল, আমরা আবার এক হই”। একথা তো একবারও বলনি তুমি? তা না করে গনেশ উল্টিয়ে বারোটা বাজালে ঊর্মির। তাতো করবেই তুমি, কারণ তোমার মনে ছিল কু মতলব।তুমি কীভাবে গোপনে তোমাদের ভালবাসার মুহূর্ত গুলোকে ভিডিওতে ধারণ করতে পারলে? আবার সেগুলো পাঠিয়ে দিলে ঊর্মির হবু বরের কাছে! ‘নিষিদ্ধ পন্থায় উৎপন্ন সন্তান’ এর সহজ বাংলা কি জানা আছে তোমার? হারামজাদা, হ্যাঁ, তুমি হারামজাদা।
ঘৃণিত মানুষ তুমি
সবকিছুতে কাঁচকলা দেখানো যায়না। কাঁচাকলা এতদিন রান্না করে খেয়েছ এবার গোটা গোটা খেতে হবে তোমাকে।তুমি যে ভুল করেছ এর শাস্তি পেতেই হবে তোমাকে।আইনগত ভাবে তো পাবেই মানসিকভাবেও তুমি কখনও শান্তিতে থাকতে পারবেনা। একজন ঘৃণিত মানুষ হিসেবে সবার কাছে তুমি পরিচিত হবে। আর ঊর্মি নিশ্চয় একদিন সব কিছু সামলে নিয়ে স্বামী, সংসার আর সত্যিকারের লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে মহাদেব সাহার কবিতার মতো বলবে-“আমি সহিষ্ণু বৃক্ষের মতো দেখো বুক চিরে এখনো ফোটাই ফুল”। সে ফুল না ঝরুক কোনদিন। কোন এক ঝা চকচকা বসন্তের দিন তা হোক শুভ্রতা ছড়ানো, উষ্ণতা জড়ানো এক পবিত্র উৎস।