বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইদানিং ফেসবুক বা মেসেঞ্জারে একটি কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি একটি সিএনজি সদৃশ দেখতে অটোরিকশায় হেলিকপ্টারের মতো পাখা লাগিয়ে উড়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি।
ব্যাপারটি মজার হলেও মানুষের আশা যানজটযুক্ত শহরে এমন কোনো বাহন থাকলে অনেক উপকারই হতো। তবে সত্যি সত্যি কিন্তু উড়ুক্কু যান বাজারে আসতে যাচ্ছে! তার আগে এই উড়ুক্কুবাইক ব্যবহার করতে যাচ্ছে দুবাই পুলিশ, যার নাম হোভারবাইক।
কিন্তু যে যানজটের কথা ভেবে এই উড়ুক্কুবাইকের কথা মানুষ ভাবছে তা কি আসলেই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে? একদমই না! আর সহসাই এর দাম কম হবারও সম্ভাবনা নেই। ক্যালির্ফোনিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হোভারসার্ফ তাদের নতুন মডেলের হোভারবাইক ‘হোভারসার্ফ এস৩’ আগামী বছরের জুন নাগাদ বাজারে আনতে যাচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে এটা বাজারে আসলে যে কেউই এটা কিনতে পারবে না। কেননা দাম ধরা হয়েছে আকাশচুম্বী। প্রাথমিকভাবে এর দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার! অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সোয়া কোটি টাকা।
২৫০ পাউন্ড ওজনের এই হোভারবাইক ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে ছুটতে পারে। আর এর ব্যাটারি একবারের চার্জে ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। সমস্যা হচ্ছে এই বাইকের চারদিকে চারটি প্রোপেলার বা পাখা রয়েছে যা অন্য কাউকে আঘাত করতে পারে। মানে বাইকার যখন এটা মাটিতে নামাবে বা ল্যান্ড করবে তখন সামনে থাকে ব্যক্তি বা বস্তু আক্রান্ত হতে পারে। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটা ১৬ ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে পারে। কিন্তু যেহেতু চারদিকেই পাখা রয়েছে এটা অন্যের জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। তাই হোভারসার্ফ চাচ্ছে এর গ্রাহকদের একটি প্রশিক্ষণ দিতে এটা কিভাবে নিরাপদে চালানো যায়।
যদিও হোভারসার্ফ কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা নানামুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ‘অবস্টাকলস’( সামনে যদি কিছু থাকে বা বাধা পরে) পদ্ধতিও আছে যা এর সামনের বস্তুকে স্ক্যান করে এগিয়ে চলে। কিন্তু তারপরেও চালকের ভুলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও এই হোভারবাইক চালাতে আমেরিকাতে কোনো লাইসেন্স নিতে হবেনা। তবুও এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে হোভারসার্ফ কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের পরবর্তী মডেলে প্রোপেলারের বদলে আবদ্ধ ফ্যান ব্যবহার করা হবে যাতে এর দ্বারা কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে এতো দামি একটি বাহন কি কখনো সাধারণের নাগালে আসবে? কেননা অফিস বা স্কুল-কলেজগামী লোকজনেরই তো এটা বেশি দরকার হয়। প্রযুক্তি যেভাবে উৎকর্ষ লাভ করছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এটা সাধারণের নাগালে আসতেও পারে।