ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিতে আসছে নতুন নেতৃত্ব

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে। আগামী নির্বাচনের আগে ছাড়া পাবেন কি না তা নিয়ে দলের ভেতরেই রয়েছে সংশয়। দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তারেক রহমান লন্ডন নির্বাসনে। এ অবস্থায় দলটির প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে জিয়া পরিবারের কেউই থাকছে না। এতে আগামী নির্বাচনে দলকে টেনে নেওয়ার মতো নেতৃত্ব থাকলেও ভোটের মাঠে সেটা ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে-বাইরে আলোচনায় আছেন জিয়া পরিবারের দুই পুত্রবধূ জোবাইদা অথবা শর্মিলা রহমান। তাদের মধ্যে যে কেউ দলের হাল ধরতে পারেন, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এমন গুঞ্জন চলছে। শিগগিরই যেকোনো এক পুত্রবধূকে নিয়ে প্রচারাভিযানে নামবে বিএনপি।

দলীয় একটি সূত্র জানায়, রায়ে খালেদা নির্বাচনে অযোগ্য হলে তার জন্য নির্ধারিত পাঁচটি আসনেই নির্বাচন করবেন এই পুত্রবধূদের যেকোনো একজন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদার জেল হওয়ার পর থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে জোবাইদা রহমানের আগমনের বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। গত নির্বাচনের আগেও জোবাইদার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে চেয়ারপারসনের অনাগ্রহের কারণেই সেটা থেমে গেছে।

জানা গেছে, রাজনীতির মাঠে খালেদা ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে জিয়া পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে সামনে নিয়ে আসার পক্ষে দলের অধিকাংশ নেতা। ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির কারণে জোবাইদা রহমানকেই প্রথম পছন্দ দলের। তিনি রাজনীতিতে এলে বিএনপির ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে বলে মত জ্যেষ্ঠ নেতাদের। জামিনে মুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও শারীরিক অবস্থার কারণেই সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া কঠিন হবে খালেদা জিয়ার। আর সেক্ষেত্রে ডা. জোবাইদা ইতিবাচক ইমেজ কাজে লাগাতে চায় বিএনপি।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া আগামী ৮ মে উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে জামিন পেলেও আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না। কেননা কুমিল্লার একটি মামলায় জামিন শুনানির তারিখ পড়েছে আগামী ৭ জুন। সেই তারিখে জামিন শুনানির আগে উচ্চ আদালতেও যেতে পারছেন খালেদার আইনজীবীরা। তাই ৮ মে জামিন হলেও খালেদার মুক্তির জন্য ৭ জুনের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিএনপিকে। এ অবস্থায় আসন্ন রমজানের শেষ দিকে শাশুড়িকে দেখতে দেশে আসার কথা আছে জোবাইদা রহমানের। কিন্তু নতুন করে পাসপোর্ট বিতর্ক সামনে চলে আসায় সহসায় জোবাইদার দেশে আসা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে, বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করছেন তার দেশে আসতে কোনো বাধা নেই। তিনি চাইলে যেকোনো সময় দেশে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট না থাকলেও হাইকমিশন থেকে সিম্পল ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে দেশে আসা সম্ভব। তার সফরকালে দলের নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শলাপরামর্শ করার কথা রয়েছে।

এদিকে, পাসপোর্ট নিয়ে আলোচনার মধ্যে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই লন্ডনে বসবাসরত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের। ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখনো ভোটার হননি। ভোটার হতে হলে সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত হতে হবে। ইসিসূত্রে প্রাপ্ত তথ্য, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এখনো ভোটার হননি। ইসির তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমানের ভোটার হওয়ার তথ্য নেই। তবে কমিশন বৃহৎ স্বার্থে প্রবাসে অবস্থিত প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এই প্রক্রিয়ায় তিনি ভোটার হতে পারবেন। যদিও বিষয়টি অনেক কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারেক-জোবাইদা পাসপোর্ট ফেরত বিষয়ের বির্তক সামনে চলে আসার পর দলের হাল ধরা নিয়ে নতুন আলোচনায় শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির বিকল্প পাচ্ছেন না তারা। বিএনপির একাধিক নেতার মতে, শর্মিলা রহমান সিঁথি নিজের রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহ না দেখালেও সময়ের প্রয়োজনে হাইকমান্ডের নির্দেশে দলের নানা কর্মকান্ডে তাকে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি সিঁথির লন্ডন থেকে দেশে আসা, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকবার কারাগারে সাক্ষাৎ, খালেদার বাসভবনে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে আলোচনাসহ তার নানা কর্মকান্ড ওই সম্ভাবনা জোরালো করেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবর্তমানে তারেক রহমানই দলের পথনির্দেশক। তাকে সহায়তা করার জন্য পরিবারে অন্য যে কেউ কাজ করতে পারেন।

জানা গেছে, সিঁথি দেশে এসেছিলেন মার্চের শেষ সপ্তাহে। আর দেশ ত্যাগ করেন চলতি মাসের মাঝামাঝি। দুই সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ এমন খবরে লন্ডন থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে আসেন সিঁথি। দেশে আসার পরদিনই কারাগারে গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করেন। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়েও শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঁথি দেশে আসার পর ফিরোজায় তার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে দলটির এক ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পর তার সন্তানরাই বিএনপির কান্ডারী হবেন। গৃহবধূকে দলের দায়িত্বে আনার পক্ষে নন বিএনপিপ্রধান। বেশ কয়েকবার জোবাইদার বিষয়ে বেগম জিয়াকে অনুরোধ করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। শর্মিলা রহমান সিঁথি সাবেক প্রকৌশলী হাসান রাজার মেয়ে। তার জন্ম মাগুরায় মামাবাড়িতে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান না হলেও বৈবাহিক সূত্রে চলে এসেছেন রাজনীতির আলোচনায়।

এ বিষয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘বিএনপিতে কে নেতৃত্বে থাকবেন বা কে থাকবেন না তা নির্ভর করবে দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর। আমরা আইনজীবীদের মাধ্যমে চেয়ারপারসন আর যোগাযোগব্যবস্থা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সামগ্রিক বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছি। এখন যদি তাদের পরামর্শে এই পরিবারের কেউ দায়িত্ব নেন সেটাও এই দুইজনের পরামর্শ মতে হবে। সেটিও ভবিষ্যতের কথা। এই মুহূর্তে এ নিয়ে আমরা ভাবছি না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপিতে আসছে নতুন নেতৃত্ব

আপডেট টাইম : ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে। আগামী নির্বাচনের আগে ছাড়া পাবেন কি না তা নিয়ে দলের ভেতরেই রয়েছে সংশয়। দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তারেক রহমান লন্ডন নির্বাসনে। এ অবস্থায় দলটির প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে জিয়া পরিবারের কেউই থাকছে না। এতে আগামী নির্বাচনে দলকে টেনে নেওয়ার মতো নেতৃত্ব থাকলেও ভোটের মাঠে সেটা ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে-বাইরে আলোচনায় আছেন জিয়া পরিবারের দুই পুত্রবধূ জোবাইদা অথবা শর্মিলা রহমান। তাদের মধ্যে যে কেউ দলের হাল ধরতে পারেন, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এমন গুঞ্জন চলছে। শিগগিরই যেকোনো এক পুত্রবধূকে নিয়ে প্রচারাভিযানে নামবে বিএনপি।

দলীয় একটি সূত্র জানায়, রায়ে খালেদা নির্বাচনে অযোগ্য হলে তার জন্য নির্ধারিত পাঁচটি আসনেই নির্বাচন করবেন এই পুত্রবধূদের যেকোনো একজন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদার জেল হওয়ার পর থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে জোবাইদা রহমানের আগমনের বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। গত নির্বাচনের আগেও জোবাইদার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে চেয়ারপারসনের অনাগ্রহের কারণেই সেটা থেমে গেছে।

জানা গেছে, রাজনীতির মাঠে খালেদা ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে জিয়া পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে সামনে নিয়ে আসার পক্ষে দলের অধিকাংশ নেতা। ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির কারণে জোবাইদা রহমানকেই প্রথম পছন্দ দলের। তিনি রাজনীতিতে এলে বিএনপির ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে বলে মত জ্যেষ্ঠ নেতাদের। জামিনে মুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও শারীরিক অবস্থার কারণেই সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া কঠিন হবে খালেদা জিয়ার। আর সেক্ষেত্রে ডা. জোবাইদা ইতিবাচক ইমেজ কাজে লাগাতে চায় বিএনপি।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া আগামী ৮ মে উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে জামিন পেলেও আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না। কেননা কুমিল্লার একটি মামলায় জামিন শুনানির তারিখ পড়েছে আগামী ৭ জুন। সেই তারিখে জামিন শুনানির আগে উচ্চ আদালতেও যেতে পারছেন খালেদার আইনজীবীরা। তাই ৮ মে জামিন হলেও খালেদার মুক্তির জন্য ৭ জুনের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিএনপিকে। এ অবস্থায় আসন্ন রমজানের শেষ দিকে শাশুড়িকে দেখতে দেশে আসার কথা আছে জোবাইদা রহমানের। কিন্তু নতুন করে পাসপোর্ট বিতর্ক সামনে চলে আসায় সহসায় জোবাইদার দেশে আসা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে, বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করছেন তার দেশে আসতে কোনো বাধা নেই। তিনি চাইলে যেকোনো সময় দেশে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট না থাকলেও হাইকমিশন থেকে সিম্পল ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে দেশে আসা সম্ভব। তার সফরকালে দলের নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শলাপরামর্শ করার কথা রয়েছে।

এদিকে, পাসপোর্ট নিয়ে আলোচনার মধ্যে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই লন্ডনে বসবাসরত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের। ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখনো ভোটার হননি। ভোটার হতে হলে সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত হতে হবে। ইসিসূত্রে প্রাপ্ত তথ্য, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এখনো ভোটার হননি। ইসির তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমানের ভোটার হওয়ার তথ্য নেই। তবে কমিশন বৃহৎ স্বার্থে প্রবাসে অবস্থিত প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এই প্রক্রিয়ায় তিনি ভোটার হতে পারবেন। যদিও বিষয়টি অনেক কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারেক-জোবাইদা পাসপোর্ট ফেরত বিষয়ের বির্তক সামনে চলে আসার পর দলের হাল ধরা নিয়ে নতুন আলোচনায় শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির বিকল্প পাচ্ছেন না তারা। বিএনপির একাধিক নেতার মতে, শর্মিলা রহমান সিঁথি নিজের রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহ না দেখালেও সময়ের প্রয়োজনে হাইকমান্ডের নির্দেশে দলের নানা কর্মকান্ডে তাকে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি সিঁথির লন্ডন থেকে দেশে আসা, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকবার কারাগারে সাক্ষাৎ, খালেদার বাসভবনে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে আলোচনাসহ তার নানা কর্মকান্ড ওই সম্ভাবনা জোরালো করেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবর্তমানে তারেক রহমানই দলের পথনির্দেশক। তাকে সহায়তা করার জন্য পরিবারে অন্য যে কেউ কাজ করতে পারেন।

জানা গেছে, সিঁথি দেশে এসেছিলেন মার্চের শেষ সপ্তাহে। আর দেশ ত্যাগ করেন চলতি মাসের মাঝামাঝি। দুই সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ এমন খবরে লন্ডন থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে আসেন সিঁথি। দেশে আসার পরদিনই কারাগারে গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করেন। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়েও শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঁথি দেশে আসার পর ফিরোজায় তার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে দলটির এক ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পর তার সন্তানরাই বিএনপির কান্ডারী হবেন। গৃহবধূকে দলের দায়িত্বে আনার পক্ষে নন বিএনপিপ্রধান। বেশ কয়েকবার জোবাইদার বিষয়ে বেগম জিয়াকে অনুরোধ করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। শর্মিলা রহমান সিঁথি সাবেক প্রকৌশলী হাসান রাজার মেয়ে। তার জন্ম মাগুরায় মামাবাড়িতে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান না হলেও বৈবাহিক সূত্রে চলে এসেছেন রাজনীতির আলোচনায়।

এ বিষয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘বিএনপিতে কে নেতৃত্বে থাকবেন বা কে থাকবেন না তা নির্ভর করবে দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর। আমরা আইনজীবীদের মাধ্যমে চেয়ারপারসন আর যোগাযোগব্যবস্থা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সামগ্রিক বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছি। এখন যদি তাদের পরামর্শে এই পরিবারের কেউ দায়িত্ব নেন সেটাও এই দুইজনের পরামর্শ মতে হবে। সেটিও ভবিষ্যতের কথা। এই মুহূর্তে এ নিয়ে আমরা ভাবছি না।