ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা সিটি নির্বাচন সাজানো : সিপিবি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনে আখ্যায়িত করে পূর্ব নির্ধারিত ফল গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবি’র নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে একথা বলেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুলনাবাসীর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে না পারার ব্যর্থতার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন। নেতৃবৃন্দ নিজেদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জনগণকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

তারা বলেন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণকালে সকাল থেকেই অনেক এলাকায় সরকার দলীয় ছাড়া অন্য দলের এজেন্টরা দাঁড়াতেই পারেননি। আচরণ বিধি লংঘন করে এলাকায় এলাকায় মহড়া, রিকশায় পোস্টার লাগিয়ে ভোটার পরিবহন ও মোড়ে মোড়ে জটলার মাধ্যমে পুরো নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হয়।

এরপর কয়েকটি এলাকায় বিরোধী দলসমূহের এজেন্টদের থাকতে না দেয়া, ভাংচুর, ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে বেআইনিভাবে সিল মারার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ভোট প্রদানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের তুলনায় অনেক কম ছিল। কোথাও কোথাও নির্বাচন কমিশনকে অসহায় থেকে সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীড়নকে পরিণত হতে দেখা গেছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাগমারা, রূপসা, বানিয়াখামার, খালিশপুর, বয়রাসহ বিভিন্ন এলাকায় কাস্তে মার্কার ভোটার-এজেন্টদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। জোর করে ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপারে সিল মারার খবর প্রচার মাধ্যমেই এসেছে। দুপুর থেকে এই ধারা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষে অধিকাংশ কেন্দ্র সরকারি দলের কর্মীরা দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। এসব ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। নগরবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

খুলনা সিটি নির্বাচন সাজানো : সিপিবি

আপডেট টাইম : ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনে আখ্যায়িত করে পূর্ব নির্ধারিত ফল গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবি’র নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে একথা বলেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুলনাবাসীর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে না পারার ব্যর্থতার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন। নেতৃবৃন্দ নিজেদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জনগণকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

তারা বলেন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণকালে সকাল থেকেই অনেক এলাকায় সরকার দলীয় ছাড়া অন্য দলের এজেন্টরা দাঁড়াতেই পারেননি। আচরণ বিধি লংঘন করে এলাকায় এলাকায় মহড়া, রিকশায় পোস্টার লাগিয়ে ভোটার পরিবহন ও মোড়ে মোড়ে জটলার মাধ্যমে পুরো নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হয়।

এরপর কয়েকটি এলাকায় বিরোধী দলসমূহের এজেন্টদের থাকতে না দেয়া, ভাংচুর, ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে বেআইনিভাবে সিল মারার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ভোট প্রদানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের তুলনায় অনেক কম ছিল। কোথাও কোথাও নির্বাচন কমিশনকে অসহায় থেকে সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীড়নকে পরিণত হতে দেখা গেছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাগমারা, রূপসা, বানিয়াখামার, খালিশপুর, বয়রাসহ বিভিন্ন এলাকায় কাস্তে মার্কার ভোটার-এজেন্টদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। জোর করে ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপারে সিল মারার খবর প্রচার মাধ্যমেই এসেছে। দুপুর থেকে এই ধারা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষে অধিকাংশ কেন্দ্র সরকারি দলের কর্মীরা দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। এসব ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। নগরবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত