বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সুশান্ত মৃত্যু থেকে বলিউডের মাদকযোগ, এতদিন চুপই ছিলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। কোনওকিছুতেই কোনও মন্তব্য করেননি। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন আক্কি। সুশান্ত মৃত্যু, মাদক যোগ, থেকে শুরু করে বি-টাউনের খারাপ-ভালো সব দিক নিয়েই মুখ খুললেন অক্ষয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন অক্ষয়। সেখানে তিনি বলেন, আজ ভারী হৃদয় নিয়ে কিছু কথা বলছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই, আমি কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম। তবে চারদিকটায় এত নেতিবাচকতা ছিল যে আমি কী বলব, কতটা বলব, এবং কাকে বলব, তা বুঝতে পারছিলাম না।
হতে পারি আমরা তারকা, তবে বলিউডকে আপনারা ভালোবাসা দিয়েই বানিয়েছেন। বলিউড শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের প্রতিটি কোণে ভারতীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির কথা পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ, তাদের অনুভূতিই সিনেমায় চিত্রায়িত করা হয়। এত বছর ধরে আপনারা যা অনুভব করেছেন। হতে পারে সেটা কোনও ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর রাগ, দুর্নীতি বা বেকারত্ব, সিনেমা সব বিষয়গুলিকেই নিজস্ব উপায়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আপনাদের হৃদয়ে যদি আজ রাগ জমে থাকে, সেটাও আমাদের মাথা পেতে নেওয়া উচিত। অক্ষয় আরও বলেন, সুশান্তের আকস্মিক মৃত্যুতে এতকিছু উঠে এসেছে, সেটা শুধু আপনাদের নয়, আমাকেও কষ্ট দিয়েছে। আর এই ইস্যুগুলিই আমাদের পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক খারাপ দিকগুলি উঠে এসেছে, যাতে নজর দেওয়া ভীষণই জরুরী। যেমন মাদকের বিষয়ে কথা হচ্ছে। আমি হৃদয়ে হাত রেখে বলছি, এই সমস্যা যে বলিউডে নেই, সে মিথ্যা আমি বলতে পারব না। বলিউডে সত্যিই এই খারাপ দিকগুলো আছে, তবে শুধু বলিউডে নয়, সব পেশাতেই রয়েছে। তবে যেমন সবক্ষেত্রে, সবাই খারাপ নয়, তেমন বলিউডেরও সবাই খারাপ মানুষ নন। বলিউডের সবাই এই বিষয়ে জড়িত নয়। মাদক অবশ্যই আইন সঙ্গত নয়, আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে, এক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা যে পদক্ষেপ করবে, সেটা ঠিকই হবে। তবে এটাও জানি, ফিল্ম ইন্ডিস্ট্রির লোকজনও তদন্তে সাহায্য করবেন। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে এভাবে খারাপ চোখে দেখবেন না। এটাও তো ঠিক নয়। অক্ষয়ের কথায়, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতার কথা জানি। সংবাদমাধ্যম যদি সঠিক সময়ে, সঠিক প্রশ্ন না তোলে, তাহলে হয়ত অনেক মানুষ বিচার পাবেন না। সংবাদমাধ্যম যা করছে, সেটা করুক। তবে অনুরোধ, দয়া করে একটু সংবেদনশীল হোন। একটা ভুল, খারাপ খবর একজন মানুষের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমকে শেষ করে দেয়। আপনারাই তো আমাদের তৈরি করেছেন, আপনাদের বিশ্বাস কখনও নষ্ট হতে দেব না। কোনও বিষয় আপনাদের খারাপ লাগলে আমরা সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করব। আপনাদের বিশ্বাস আবারও জয় করব, শুধু পাশে থাকুন।