বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অনুমোদনের আগেই ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) প্রকল্প প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
জানা যায়, ‘বিটিসিএলের বিদ্যমান অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্কের উন্নয়ন ও রিং টাইপ নেটওয়ার্কে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় প্রথমবার ধরা হয়েছিল ৩৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ৮৯৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ব্যয় বৃদ্ধির হার ২৪৩ শতাংশ। স্বভাবতই অনুমোদনের আগেই এত বেশি ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে খটকা লেগেছে পরিকল্পনা কমিশনের। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কার্যপরিধি ও ব্যয় এত অধিক বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হয় না।
তাই তারা তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করতে বলেছেন। আমরা পরিকল্পনা কমিশনের এ পদক্ষেপকে যথার্থ বলে মনে করি।
বস্তুত যে কোনো প্রকল্পের প্রস্তাব পেশ করার আগে যথাযথভাবে তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। তা না হলে অপচয় ও অনিয়মের আশঙ্কা থেকে যায়। আর স্বচ্ছতার জন্য এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটি তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই করা উচিত।
জানা যায়, বিটিসিএলের উল্লিখিত প্রকল্পের প্রস্তাবে শুধু যন্ত্রপাতির ধরন, পরিমাণ ও লোকেশন উল্লেখ করা হয়েছিল, অর্থাৎ সবকিছু বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
তাছাড়া সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল নিজস্ব সংস্থার মাধ্যমে। এ কারণেই প্রকল্প প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমরা আশা করব, অচিরেই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রকল্পের একটি যৌক্তিক প্রস্তাব পেশ করবে বিটিসিএল।
বলা যায়, বিটিসিএলের এ প্রকল্পটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি অংশ। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোরকম অনিয়ম যেন না হয় সে জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।