ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কোভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ কতটা জটিল তা বহুল আলোচিত। যেহেতু খুব দ্রুত নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন সহজলভ্য হচ্ছে না, সেহেতু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করা হলে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে না।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলেও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা থেকেই এ ভাইরাসের ভয়াবহতার দিকটি স্পষ্ট। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ অনেক দেশই ইতোমধ্যে লকডাউনসহ কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে।

আমাদের দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই বাড়ছে সংক্রমণের হার। উদ্বেগের বিষয় হল, দেশে আগস্টে যখন সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে তখন থেকেই মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে উদাসীনতা বেড়েছে। মাস্ক পরিধানসহ বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন পরামর্শও তারা অমান্য করছে। এভাবে চলতে থাকলে অতি দ্রুত সংক্রমণের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে।

কাজেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী শীতে আবার যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সতর্ক করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় করোনা মোকাবেলায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। কাজেই সবাই যাতে যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা আগে থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

বয়স্ক, গর্ভবতী মা ও শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলা কেন জরুরি, এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

মানসম্মত ভ্যাকসিন সহজলভ্য হতে কয়েক বছর সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আশা করা যায়, দ্রুত করোনার নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে। মানসম্মত ভ্যাকসিন সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কোভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ কতটা জটিল তা বহুল আলোচিত। যেহেতু খুব দ্রুত নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন সহজলভ্য হচ্ছে না, সেহেতু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করা হলে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে না।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলেও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা থেকেই এ ভাইরাসের ভয়াবহতার দিকটি স্পষ্ট। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ অনেক দেশই ইতোমধ্যে লকডাউনসহ কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে।

আমাদের দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই বাড়ছে সংক্রমণের হার। উদ্বেগের বিষয় হল, দেশে আগস্টে যখন সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে তখন থেকেই মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে উদাসীনতা বেড়েছে। মাস্ক পরিধানসহ বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন পরামর্শও তারা অমান্য করছে। এভাবে চলতে থাকলে অতি দ্রুত সংক্রমণের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে।

কাজেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী শীতে আবার যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সতর্ক করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় করোনা মোকাবেলায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। কাজেই সবাই যাতে যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা আগে থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

বয়স্ক, গর্ভবতী মা ও শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলা কেন জরুরি, এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

মানসম্মত ভ্যাকসিন সহজলভ্য হতে কয়েক বছর সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আশা করা যায়, দ্রুত করোনার নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে। মানসম্মত ভ্যাকসিন সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।